গত ১৯ ডিসেম্বর গ্রেফতার হন একতা ও তাঁর স্বামী রবি শেখর। বাবা-মা দু’জনেই জেলে থাকায় তাঁদের সন্তান আতান্তরে পড়ে। তার দেখাশোনা করছিলেন ঠাকুমা। তিনি জানান, শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন মহল থেকে একতাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি ওঠে। কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও ট্যুইট করে একতাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান। অবশেষে এই মহিলাকে রেহাই দিল পুলিশ। রবিকে অবশ্য কবে মুক্তি দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, এই দম্পতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
ছাড়া পাওয়ার পর একতা বলেছেন, ‘১৪ দিন সন্তানের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। দু’সপ্তাহ মেয়েকে ছেড়ে থাকা আমার পক্ষে খুব কঠিন ছিল। ওর বয়স মাত্র ১৪ মাস। ও আমার স্তন্যপানের উপরেই নির্ভর করে থাকে। তাই ওকে নিয়ে আমার খুব চিন্তা হচ্ছিল।’
সন্তানকে নিয়ে উদ্বেগে থাকলেও, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল বলেই মত একতার। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে, প্রতিবাদ ঠিক ছিল। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও নাগরিকপঞ্জী নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তার জবাব দিতে হবে সরকারকে। আমার সন্তানের মতো হাজার হাজার শিশুর ভবিষ্যৎ উন্নত করার চেষ্টা করছি আমরা।’