জয়পুর:  আর্থিক সংকটে জর্জরিত এক সুদের ব্যবসায়ীর (ফিনান্সার) নিজেকে খুন করানোর চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল রাজস্থানের  ভিলওয়াড়া জেলায়। পুলিশ সূত্রের খবর, পরিবার যাতে বিমার ৫০ লক্ষ টাকা পায়, সেজন্যই এই পদক্ষেপ করেছিলেন ওই ফিনান্সার। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার দুই ব্যক্তি পুলিশকে এ কথা জানিয়েছে।


পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক মঙ্গলবার জানিয়েছেন যে, ৩৮ বছরের বলবীর খারোল বেশ কয়েকজনকে ২০ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন। তিনি ওই টাকা আদায় করতে পারছিলেন না। গত ছয় মাস ধরে সুদ ও আসল না পাওয়ার কারণে সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি।

পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, গত মাসেই একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে নিজের ৫০ লক্ষ টাকার বিমা করিয়েছিলেন এবং প্রথম কিস্তিও মিটিয়ে দেন।

ভিলওয়াড়া পুলিশ সুপার হরেন্দ্র মহাওয়ার বলেছেন, পরিবারের লোকজন যাতে বিমার অর্থ পায়, সেজন্য ফিনান্সার নিহত বলবীর খারোল নিজের হত্যার ছক কষেন।  তিনি দুই অভিযুক্ত রাজবীর সিংহ ও সুনীল যাদবকে ৮০ হাজার টাকায় তাঁকে হত্যার জন্য ‘সুপারি’ দিয়েছিলেন।
পুলিশ সুপার বলেছেন, অভিযুক্তরা গত ২ সেপ্টেম্বর মঙ্গরোপ থানা এলাকায় বলবীরকে শ্বাসরোধ করে খুন করে।

পুলিশ জানিয়েছে, বলবীরের মোবাইল ফোনের কল ডিটেলস ও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে গত সোমবার দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে, বলবীর তাঁকে খুন করতে দুই অভিযুক্ত বলেছিলেন, যাতে তাঁর পরিজনরা বিমার টাকা পান।

পুলিশ সুপার বলেছেন, প্রথমে বলবীর কোনও দুর্ঘটনায় নিজের মৃত্যু ঘটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বেঁচে যেতে পারেন ,এই আশঙ্কা থেকেই নিজেকে হত্যার ছক কষেন বলবীর।

তিনি জানিয়েছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী, বলবীর নিজেকে খুন করাতে অভিযুক্তদের ১০ হাজার টাকা অগ্রিম দেন। বাকি টাকাটা নিজের পকেটে রাখেন। দুই অভিযুক্তের সঙ্গে একটি নির্জন জায়গায় যান বলবীর। সেখানে তাঁকে হত্যা করা হয়।
নিহতের পরিবারে স্ত্রী, সন্তান ও বাবা-মা রয়েছেন।