নয়াদিল্লি: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিহার বিজেপির বিধান পরিষদ সদস্য সঞ্জয় পাসওয়ানের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে নিয়ে মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। নীতীশের দল জেডিইউ সঞ্জয়ের ওই বক্তব্য সম্পর্কে বিজেপির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। সঞ্জয় বলেছিলেন, নীতীশ কুমারের এবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ বিজেপিকে ছেড়ে দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, বিহারে এবার বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী প্রয়োজন। কারণ, নীতীশ দীর্ঘদিন ধরে এই পদে রয়েছেন। তাই বদল দরকার।
উল্লেখ্য, আগামী বছর বিহারে বিধানসভার নির্বাচন হবে।
জেডিইউ-র জাতীয় মুখপাত্র ও দলের মহাসচিব পবন বর্মা বলেছেন, সঞ্জয় পাসওয়ানের এই বক্তব্য সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত বিজেপির। তিনি বলেছেন, বিজেপির জানানো উচিত যে, সঞ্জয় পাসওয়ান নিজে থেকে ওই মন্তব্য করেছেন, না দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের বিবৃতি দিয়েছেন।এর ভিত্তিতে আমরা উপসংহারে পৌঁছব।
পবন বর্মা বলেছেন, নীতীশ কুমারের ট্রাক রেকর্ড খুবই স্বচ্ছ। তিনি বিহারে এনডিএ-র মুখ। যতদিন বিজেপি ও জেডিইউ-র জোট রয়েছে, ততদিন নীতীশ কুমারই জোটের মুখ। এ কথা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বও স্বীকার করেছেন।
সঞ্জয় পাসওয়ান সোমবার বলেছিলেন যে, গত ১৫ বছর ধরে বিজেপি বিহারে মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতীশ কুমারের ওপর ভরসা রেখেছে। এবার তাঁর বিজেপির কোনও নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।
সঞ্জয় পাসওয়ান ইঙ্গিতে উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদির নামও করেন। তিনি দাবি করেন, বিহারের মানুষ এখন পরিবর্তন চাইছেন।
জেডিইউ-র বলছে, আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশই এনডিএ-র মুখ হবেন। কিন্তু এই দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি সঞ্জয় পাসওয়ান। তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে এনডিএ-তে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
উল্লেখ্য, সঞ্জয় পাসওয়ান যখন এমন মন্তব্য করেছেন, তখন সুশীল মোদি নিজেই বলে দিয়েছেন যে, নীতীশই এনডিএ-র মুখ হবেন। সেজন্য ওই দুই মন্তব্য পরস্পর বিরোধী বলেই মনে করা হচ্ছে।
সঞ্জয় পাসওয়ানের মন্তব্য নিয়ে জেডিইউ ও বিজেপির সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়ে কিনা, সেদিকে সবার নজর থাকবে। এরইমধ্যে ওই মন্তব্য নিয়ে বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব নীতীশ কুমারকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, বিজেপি নেতাদের এই মন্তব্য খারিজ করতে পারবেন কি নীতীশ কুমার। তেজস্বী আরও বলেন, লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের ইস্তাহার জারি করেনি জেডিইউ। বিজেপির ইস্তাহারের সাহায্যের ১৬ আসনে জয়ী হয়েছে তারা।