নয়াদিল্লি :  গুলিকাণ্ডে এবার সংঘাতে নাগাল্যান্ড বনাম কেন্দ্র। গুলিকাণ্ডে আধাসেনার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর নাগাল্যান্ড পুলিশের। ‘না জানিয়ে, স্থানীয় পুলিশ গাইড ছাড়া অপারেশন চালানো হয়েছে, খুন এবং স্থানীয়দের আহত করা নিরাপত্তাবাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল ’, স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআরে অভিযোগ নাগাল্যান্ড পুলিশের। 

অন্যদিকে আজ শুরু থেকেই নাগাল্যান্ড গুলিকাণ্ডে আজ উত্তাল হল সংসদ। আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব দেয় বিরোধীরা। একযোগে মুলতুবি প্রস্তাব দেয় কংগ্রেস, তৃণমূল, আরজেডি । 


আজই নাগাল্যান্ডে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। গতকালই ঘটনার কড়া নিন্দা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে আজ রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের নেতৃত্বে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল নাগাল্যান্ডে যাচ্ছে। দলে রয়েছেন আরও তিন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেন, অপরূপা পোদ্দার ও মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেব। 

আরও পড়ুন :


নাগাল্যান্ডে নারকীয়! আজ যাচ্ছে সুস্মিতা দেবের নেতৃত্বে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল


নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিংয়ের টিরু গ্রাম । একেবারে মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা। ওই এলাকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশের সমস্যা নতুন নয়। কিন্তু অনুপ্রবেশকারী রুখতে গিয়েই শনিবার রাতে ঘটে যায় ভয়ঙ্কর ঘটনা! স্থানীয় সূত্রের দাবি, কয়লা খনিতে কাজ সেরে গ্রামে ফিরছিলেন কয়েক জন। জঙ্গি সন্দেহে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালান অসম রাইফেলসের জওয়ানরা। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় ১৪ জনের শরীর। তারপরই উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। 

অসম রাইফেলসের কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। মৃত্যু হয় এক জওয়ানের। ঘটনার জেরে রবিবার দিনভর অশান্তি চলে নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায়। নিরীহ গ্রামবাসীদের প্রাণহানির প্রতিবাদে রাস্তায় নামে উত্তেজিত জনতা। মন জেলায় অসম রাইফেলসের ক্যাম্পে হামলার অভিযোগ ওঠে। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অশান্তি যাতে না ছাড়ায় সে জন্য মন জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে নাগাল্যান্ড প্রশাসন। SIT গঠন করেছেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও। শনিবারের ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে অসম রাইফেলস বিবৃতি দিয়ে জানায়,গোয়েন্দা সূত্রে টিরু গ্রামে জঙ্গিদের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই চলে অভিযান। এমন ঘটনা গভীর দুঃখের।