কলকাতা: নানুরে বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় ক্রমেই জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। এনআরএস থেকে দেহ বোলপুরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। পাল্টা দেহ নিতে এনআরএসে অপেক্ষায় মৃতের পরিবার।
পুলিশের বিরুদ্ধে দেহ চুরির অভিযোগ তুলেছেন মৃত বিজেপি নেতার স্ত্রী। পরিবারের সম্মতি ছাড়া কীভাবে পুলিশের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হল, এই প্রশ্ন তুলে ডেপুটি সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি ।
গতকাল রাতে এনআরএস হাসপাতালের মর্গ থেকে পুলিশ কনভয়ে দেহ পৌঁছে যায় বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সকালে কলকাতায় বিজেপির সদর দফতর থেকে দলীয় নেতাদের সঙ্গে দেহ নিতে এনআরএসে যান মৃতের স্ত্রী ও ভাই। পুলিশের বিরুদ্ধে দেহ চুরির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। ডেপুটি সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে, প্রতিক্রিয়া ডেপুটি সুপার দ্বৈপায়ন বিশ্বাসের।
সোমবার সন্ধেয় বিজেপি নেতা স্বরূপ গড়াইয়ের দেহ কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরে নিয়ে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। এরপর রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে যায় এন্টালি থানার পুলিশ। ডিসি ইএসডি দেবস্মিতা দাসের উপস্থিতিতে মর্গ থেকে বিজেপি নেতার দেহ বের করা হয়। এরপর ২২টি গাড়ির কনভয় বিজেপি নেতার দেহ পৌঁছে দেয় বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
পুলিশের দাবি, এনআরএস হাসপাতালে মৃতের পরিবারের খোঁজ না মেলায়, নিয়ম মেনে দেহ তুলে দেওয়া হয় নানুর থানার পুলিশের হাতে। এরপর নানুরে গিয়ে দেহ নেওয়ার আবেদন জানাতে বিজেপি নেতার বাড়িতে যাওয়া হলেও, নোটিসে সই করতে অস্বীকার করেন মৃতের আত্মীয়রা। শেষে বাড়ির দেওয়ালে নোটিস সেঁটে দেয় পুলিশ। সেই নোটিস ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর দেহ গ্রহণ করে সত্কারের জন্য বিজেপি নেতার পরিবারকে আবেদন জানিয়ে নানুরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের তরফে লাগানো হয় পোস্টার।