নয়াদিল্লি: ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গা সংক্রান্ত সাতটি মামলার তদন্ত ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এর জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। যে অভিযুক্তরা প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন বা শুনানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সেই মামলাগুলির তদন্ত করবে সিট। ফলে বিপাকে পড়তে পারেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে প্রমাণ জোগাড় করতে পারেন তদন্তকারীরা।


১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গার তদন্ত ফের শুরু হওয়ায় কমলনাথকে আক্রমণ করেছেন অকালি দলের নেতা মনজিন্দর শিরসা। তাঁর ট্যুইট, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দ্বারা গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গা সংক্রান্ত মামলা নতুন করে চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় শিখদের বড় জয় হল। কমলনাথ দিন গোণা শুরু করে দিন। সজ্জন কুমারের সঙ্গে জেলে একই ঘরে থাকতে হবে তাঁকে।’

শিরসা আরও বলেছেন, ‘১৯৮৪ সালের গণহত্যার সঙ্গে জড়িত কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়ায় অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানাই। কমলনাথের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলে ১৯৮৪ সালের ক্ষতে প্রলেপ পড়বে।’

সংবাদসংস্থা এএনআই-কে শিরসা জানিয়েছেন, ‘দুই প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাঁরা সিট-এর কাছে বয়ান দিতে তৈরি। আমরা সিট-এর সঙ্গেও কথা বলেছি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট দিনের কথা জানানো হবে। শিখরা যাতে ন্যায়বিচার পান সেটা নিশ্চিত করার জন্য কমলনাথকে অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়া উচিত কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর।’

১৯৮৪ সালে দিল্লির বসন্ত বিহার, সানলাইট কলোনি, কল্যাণপুরী, পার্লামেন্ট স্ট্রিট, কনট প্লেস, পটেল নগর ও শাহদারা থানায় যে সাতটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেগুলির তদন্ত নতুন করে শুরু করছে সিট। এই মামলাগুলির বিষয়ে তথ্য চেয়ে নোটিস দিয়েছেন তদন্তকারীরা।