ওয়াশিংটন: চাঁদের মাটিতে জলের খোঁজে এবার পাড়ি দেবে চলমান রোবট। আমেরিকার ন্যাশনাল অ্যারোনেটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) ২০২৩-এর শেষের দিকেই তাদের প্রথম চলমান রোবট চাঁদের পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। নাসা-র ঘোষণা অনুসারে, এই রোভার চাঁদের জমিতে জল, বরফ ও অন্যান্য সম্পদের খোঁজ চালাবে। এই রোবটের নাম ভোলাটাইলস ইনভেস্টিগেটিং পোলার এক্সপ্লোরেশন রোভার (ভাইপার)। চাঁদের দক্ষিণ মেরু এলাকার তথ্য সংগ্রহের  ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে এই রোবট, যা পরবর্তীকালে চাঁদে মানুষের অভিযানের সময় ব্যবহার করা যেতে পারে। 
ভাইপার যে তথ্য সংগ্রহ করবে সেগুলি বিজ্ঞানীরা চন্দ্রপৃষ্ঠে সম্পদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান ও চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম  মহাকাশযাত্রী প্রেরণের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সম্ভাব্য অবতরণ স্থল সম্পর্কে পর্যালোচনার কাজে ব্যবহার করবেন। 
নাসা-র সদর দফতরে ভাইপারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী সারা নোবেল বলেছেন যে, ভাইপার চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশ গবেষণা সংস্থার পাঠানো সবচেয়ে সক্ষম রোবট হবে এই ভাইপার। চন্দ্রপৃষ্ঠের সেই স্থানগুলিতে অভিযান, চালাবে ভাইপার, যে অংশ সবার কাছে অজানা। 
ভাইপারে থাকবে বিশেষ চাকা ও সাসপেনসন সিস্টেম ( উঁচুনিচু জমিতে মসৃণভাবে চলার ব্যবস্থা)। এরফলে ভাইপার চাঁদের বুকে বিভিন্ন ধরনের মাটি ও এলাকায় অভিযান চালাতে পারবে। চন্দ্রপৃষ্ঠের প্রথম কোনও রোভারে এই প্রথম হেডলাইটও থাকবে। এরফলে চাঁদের চিরদিন আলোর বিপরীতে থাকা অংশগুলিতেও অভিযান চালানো যাবে। ওই এলাকাগুলি সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে শীতলতম স্থান। সৌর শক্তিতে ভাইপার কাজ করবে। 
ভাইপারের নকশা তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়েছে এবং এর প্রস্তুতির পর্ব সম্প্রতি সম্পূর্ণ হয়েছে। নাসা এখন পরবর্তী পর্বের জন্য ওই রোভারের অনুমোদন দিয়েছে। 


আর্টেমিনস কর্মসূচী নাসা ২০১৭-তে হাতে নিয়েছে। এই কর্মসূচীর আওতায় নাসা চাঁদের বুকে অভিযানের জন্য রোবট ও মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনা সফল হলে ১৯৭২-এর অ্যাপোলে কর্মসূচীর পর এই প্রথম চাঁদে মানুষ পাঠাবে নাসা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা চাঁদে প্রথম কোনও মহিলা মহাকাশযাত্রীকে পাঠানোরও পরিকল্পনা করছে। তিন সদস্যের মহাকাশযাত্রীর একজন হবেন মহিলা।