নয়াদিল্লি: আজ জাতীয় সুরক্ষা দিবস। প্রতি বছর ৪ মার্চ জাতীয় সুরক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটিতে দুর্ঘটনা রোখার বিষয়ে সচেতনতা প্রচার করা হয়। আজ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে।


১৯৬৬ সালে শ্রম মন্ত্রকের অধীনে গঠন করা হয় জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিল। এই সংস্থার মাধ্যমে ঘরে-বাইরে সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়। জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে ১৯৭২ সাল থেকে ৪ মার্চ দিনটি জাতীয় সুরক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।


১৯৬৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার প্রথমবার শিল্পাঞ্চলে সুরক্ষা বিষয়ক আলোচনাসভা আয়োজন করে। সেই আলোচনাসভায় যোগ দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন। এই আলোচনাসভায় জাতীয় এবং রাজ্যস্তরে সুরক্ষা কাউন্সিল গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ১৯৬৬ সালে স্ট্যান্ডিং লেবার কমিটির ২৪-তম অধিবেশনে জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিল গঠন করার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ১৯৬৬ সালের ৪ মার্চ এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়। সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার কাজ শুরু করে কাউন্সিল।


এ বছর জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের ৪৯-তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। শিল্পাঞ্চল, বিভিন্ন সরকারি দফতর, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং সুরক্ষা বিষয়ক সংস্থাগুলি নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালন করছে। এবারের থিম ‘সড়ক সুরক্ষা’।


জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘আমরা যে বিষয়গুলির উপর জোর দিচ্ছি, সেগুলি মানুষের সাধারণ উদ্বেগের বিষয়। আমরা একইসঙ্গে এটাও বিশ্বাস করি, আমরা ঠিক পথেই এগিয়ে চলেছি। সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা হচ্ছে এবং দুর্ঘটনা রোখার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’