মুম্বই: একটি ক্যুরিয়র অফিস থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণে ট্র্যামাডল ট্যাবলেট, যা ‘আইএসআইএস ড্রাগ’ হিসেবে পরিচিত। গতকাল মুম্বইয়ের কুরলা অঞ্চল থেকে উদ্ধার হয় এই মাদক। মোট ৪,৮২৪টি ট্যাবলেট হয়, যার ওজন ২.৬১৩ কেজি। এই ঘটনায় দিল্লি থেকে মহম্মদ আনাস নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। ধৃত যুবকই মাদক সরবরাহ করেছিল বলে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর মুম্বই শাখার আধিকারিকরা লাল বাহাদুর শাস্ত্রী মার্গে দামজি-শামজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে একটি ক্যুরিয়র সংস্থার দফতরে অভিযান চালান। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় মাদক। তদন্তকারীদের সন্দেহ, পশ্চিম এশিয়ার কোনও দেশে এই মাদক ট্যাবলেট পাঠানো হচ্ছিল। সেখান থেকে আফ্রিকায় আইএসআইএস বা বোকো হারাম জঙ্গিগোষ্ঠীর কাছে পাঠানো হত এই মাদক।
নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘নারকোটিকস ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্টে আনাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করেছে এনসিবি। কোথায় এই মাদক পাঠানোর কথা ছিল, সেটা আনাসকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছি আমরা। এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে।’
কেন্দ্রীয় সরকার এদেশে ট্র্যামাডল ট্যাবলেট বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ব্যথার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয় এই ট্যাবলেট। তবে ২০১৮ সাল থেকে ভারতে নারকোটিকস ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্টের আওতায় এসেছে এই ট্যাবলেট। তারপর থেকেই এদেশে এই ট্যাবলেট বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু তা সত্ত্বেও লুকিয়ে-চুরিয়ে বিক্রি হচ্ছে ট্র্যামাডল।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জঙ্গিরা এই ট্যাবলেট ব্যবহার করে। ব্যথা দূর করার জন্য বা কোনওরকম চোট দ্রুত সারানোর জন্য আইএসআইএস জঙ্গিদের কাছে এই ট্যাবলেটের জনপ্রিয়তা রয়েছে। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক স্তরে ‘আইএসআইএস ড্রাগ’ হিসেবে পরিচিত ট্র্যামাডল।