নয়াদিল্লি: এ মাসের পাঁচ তারিখ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উপর মুখ ঢেকে যারা হামলা চালায়, তাদের মধ্যে এক তরুণীকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও এবিভিপি সদস্যা কোমল শর্মা বলে চিহ্নিত করা গিয়েছে, এমনই স্টিং অপারেশন দেখায় একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এবার সেই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর দেখিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে জাতীয় মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হলেন কোমল। তাঁর দাবি, জেএনইউ হামলায় তাঁর নাম জড়ানো ঠিক নয়। সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। ওই সংবাদমাধ্যমের ডিরেক্টর ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোমলের এই অভিযোগ গ্রহণ করেছে মহিলা কমিশন।


এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরা কোমল বলে চিহ্নিত হওয়া মুখ ঢাকা ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তদন্তকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দৌলত রাম কলেজের ছাত্রী কোমল।  এখনও পর্যন্ত মোট ৯ জন অভিযুক্তকে তদন্তকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাতজনই বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্য। অভিযুক্তদের মধ্যে জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষও আছেন। এছাড়া জেএনইউ-এ হামলার ঘটনায় আরও ৩৭ জনকে আইনি নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি পুলিশ।