নয়াদিল্লি: দেশে পুরুষ ও মহিলাদের বিয়ের বয়স একই রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যা জ্যোতিকা কালরা। বাল্যবিবাহ বিষয়ক এক আলোচনাসভায় তিনি বলেছেন, ‘ছেলেদের বিয়ের বয়স ২১ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে সেটা ১৮ করার কোনও কারণ নেই। এই তারতম্যের পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই। এই অসাম্যের জন্য শিশুদের জীবন ও বিয়ের উপর প্রভাব পড়ছে।’

জ্যোতিকা আরও বলেছেন, বিয়ের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রি বাধ্যতামূলক করা উচিত। সুপ্রিম কোর্ট ও আইন কমিশন ইতিমধ্যেই এটি করতে বলেছে। কিন্তু সব রাজ্য সেই ব্যবস্থা করেছে কি না, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। ভারতে বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে নিরক্ষরতা একটি বড় কারণ। এছাড়া সামাজিক-অর্থনৈতিক কারণগুলিও আছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক অম্বুজ শর্মা বলেছেন, ভারতে বাল্যবিবাহের হার অনেক বেশি। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। যদিও দেশে বাল্যবিবাহের হার কমেছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহের জাতীয় গড় ৪৭.৪ শতাংশ থেকে ২৬.৮ শতাংশে নেমে এসেছে। ছেলেদের ক্ষেত্রে এই গড় ৩২.৩ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ২০.৩ শতাংশ।