সফরসূচি অনুযায়ী, এদিন নেতাজি ভবন থেকে প্রথমে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যান প্রধানমন্ত্রী। নেতাজির মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর বিকেল ৪টে ১৪ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে। কিছুক্ষণ পরে ভিক্টোরিয়ায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানিয়ে তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর একসঙ্গে নেতাজির নামাঙ্কিত গ্যালারির উদ্বোধন করেন তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল। কিছুক্ষণ পর পরীঘরের সামনে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ‘নেতাজির পত্রাবলি’ নামে একটি বইয়ের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রকাশিত হয় নেতাজি স্মারক ডাকটিকিট এবং মুদ্রা। এরপর আজাদ হিন্দ বাহিনীর সদস্যদের সংবর্ধনা জানান প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্যের শুরুতেই নেতাজি-সহ একের পর এক বাঙালি মনীষীর নাম করে সম্মান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্রের মাটি এই পুণ্যভূমি, রামকৃষ্ণ দেব, সারদাদেবী স্বামী বিবেকানন্দ, এই পুণ্যভূমি দিয়েছে গুরুচাঁদ-হরিচাঁদ ঠাকুর, এই পূণ্যভূমি আমাদের দিয়েছে শ্যামাপ্রসাদ, প্রণব মুখোপাধ্যায়, সব মহাপুরুষকে প্রণাম জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতে, দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, রোগভোগ। সমাজ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলেই এই সমস্যাগুলি দূর করা সম্ভব। নেতাজি যে শক্তিশালী ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন, আজ এলএসি থেকে এলওসি পর্যন্ত সারা বিশ্ব সেটা দেখতে পাচ্ছে। সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার চেষ্টা হলেই আজ যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারত।’ মহিলাদের ক্ষমতায়নের কথা বলতে গিয়ে নেতাজির গড়ে তোলা ‘ঝাঁসির রানি বাহিনী’-র কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
নেতাজির ১২৫-তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে রাজ্যে আসার আগেই আজ ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের প্রিয় ভাই ও বোনেরা, পরাক্রম দিবসের এই শুভ দিনটিতে আপনাদের মধ্যে আসতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। কলকাতায় এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমরা বীর-কেশরী সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাব।’
এরপর অপর একটি ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী ও ভারত-মাতার সন্তান, প্রকৃত যোদ্ধা সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীতে শতকোটি অভিবাদন। দেশের স্বাধীনতার জন্য তাঁর ত্যাগ ও বলিদান দেশবাসীর কাছে চিরস্মরণীয়।’