নয়াদিল্লি: সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অভিযোগে পাকিস্তানপন্থী কাশ্মীরী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী দুখতারান-ই-মিল্লাতের নেত্রী আসিয়া আনদ্রাবি ও তাঁর দুই সহযোগী সোফি ফেহমিদা, নাহিদা নাসরিনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল এনআইএ। দুখতারান আগেই নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। আনদ্রাবি ও অন্যদের মাধ্যমে খোলাখুলি জম্মু ও কাশ্মীরকে হিংসাত্মক পথে ভারত থেকে টুকরো করে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করার দাবিতে সওয়াল করে সংগঠনটি। তারা ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত ও পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির মদত, সাহায্য নিয়ে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্য কাশ্মীরের সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলছে বহুদিন ধরে।
গত এপ্রিলেই তিনজনকে গ্রেফতার করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। জুলাইয়ে তাদের মামলাটি জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এক বিবৃতিতে এনআইএর এক মুখপাত্র বলেন, ট্যুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব, পাকিস্তানের কয়েকটি সহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের মতো সোস্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে আনদ্রাবিরা ভারতের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানমূলক ও ঘৃণার বার্তা ছড়াচ্ছিলেন। তদন্তে বেরিয়েছে যে, তিনি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মতামত প্রচার করছেন, ধর্মের ভিত্তিতে ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায়, গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষের বীজ বপন করছেন। পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা আন্তর্জাতিক স্তরে ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী জামাত-উদ-দাওয়া, লস্কর-ই-তৈবা প্রধান বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী হাফিজ মহম্মদ সঈদের সঙ্গে আনদ্রাবির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগও তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
এনআইএ বলেছে, আনদ্রাবির ব্যক্তিগত সচিব সোফি ও দুখতারানের সাধারণ সম্পাদক নাহিদা ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার বার্তা সম্প্রচারের পাশাপাশি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতেও সোস্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য মঞ্চ ব্যবহারে সক্রিয় ছিলেন। নানা সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় ভেদাভেদবাহী বার্তাও দিয়েছেন। তাঁরা দুখতারানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতে অর্থ সংগ্রহ করেছেন, জনসংযোগের মঞ্চ ব্যবহার করে কাশ্মারী যুবকদের ভারতের বিরুদ্ধ সশস্ত্র বিদ্রোহে নামতে তাতিয়ে তুলেছেন।