নয়াদিল্লি: ফের কিউরেটিভ পিটিশন ও ক্ষমার আর্জি জানাতে চায় নির্ভয়াকাণ্ডে ফাঁসির সাজা পাওয়া মুকেশ সিংহ। তার আইনজীবী এম এল শর্মার দাবি, অ্যামিকাস ক্যুরি বৃন্দা গ্রোভার আদালতের রায়ের বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, মৃত্যুর পরোয়ানা জারি হওয়ার সাতদিনের মধ্যে কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করতে হয়। কিন্তু আসলে রিভিউ পিটিশন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর তিন বছর পর্যন্ত কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করা যায়। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে মুকেশের রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ফলে সে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত কিউরেটিভ পিটিশন ও ক্ষমার আর্জি জানাতেই পারে। মুকেশের আইনজীবীর এই বক্তব্য মেনে নিয়ে তার আর্জি শুনতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।


অন্যদিকে, এই মামলায় ফাঁসির সাজা পাওয়া অপর এক অপরাধী বিনয় শর্মার আইনজীবী এ পি সিংহ ফের দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর দাবি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ যে ক্ষমার আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন, তাতে পদ্ধতিগত ভুল ছিল এবং সাংবিধানিক নিয়মও লঙ্ঘন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে যে আর্জি পাঠানো হয়েছিল, সেটিতে দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের সই ছিল না। হাইকোর্ট এই আর্জি শুনতে রাজি হয়েছে।

২০ তারিখ ভোর সাড়ে পাঁচটায় মুকেশ, বিনয়, পবন গুপ্ত ও অক্ষয় ঠাকুরের ফাঁসি হওয়ার কথা। কিন্তু ফের মুকেশ ও বিনয় আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় ২০ তারিখও সাজা কার্যকর হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।