নয়াদিল্লি: বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ নির্ভয়াকাণ্ডের অন্যতম আসামী অক্ষয় সিংহ ঠাকুরের স্ত্রী। নির্ভয়ার চার ধর্ষণকারীর তিনজন, অক্ষয় সিংহ ঠাকুর, পবন গুপ্তা ও বিনয় শর্মা গতকালই ফাঁসির হাত থেকে বাঁচতে আন্তর্জাতিক ন্যয় আদালতে (আইসিজে) মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছে। ২০ মার্চ ভোর সাড়ে ৫টায় তিহার জেলে চারজনেরই ফাঁসি হওয়ার কথা। তার কয়েকটা দিন আগে অক্ষয়ের স্ত্রী পুনিতা আদালতে বললেন, তিনি চান। ঔরঙ্গাবাদ পরিবার আদালতের প্রধান বিচারপতি রামলাল শর্মার এজলাসে তিনি ডিভোর্স চেয়ে বলেছেন, স্বামীকে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও খুন মামলায় দোষী ঘোষণা করা হয়েছে। তার ফাঁসি হতে চলেছে। কিন্তু সে নির্দোষ, তাই তার ফাঁসি হয়ে গেলে তাঁকে ধর্ষণকারীর বিধবা স্ত্রী, এই কলঙ্ক মাথায় নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে, যা তিনি চান না। জানা গিয়েছে, আজ শুনানি অসম্পূর্ণ থাকে। ফের ১৯ মার্চ শুনানি হবে। অর্থাত অক্ষয়ের ফাঁসির আগের দিন।
তাঁর আইনজীবী মুকেশ কুমার সিংহ জানিয়েছেন, হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩ (২) (বি) ধারায় ধর্ষণ সহ কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে একজন হিন্দু মহিলা ডিভোর্স চেয়ে আবেদন জানাতে পারেন। তাঁর সেই অধিকার আছে। আইন অনুসারে কোনও মহিলার স্বামী ধর্ষণে দোষী ঘোষিত হলে তিনি ডিভোর্স চাইতে পারেন।
প্রসঙ্গত, নির্ভয়া মামলার চার দোষীর প্রাণভিক্ষার আবেদনই খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ঔরঙ্গাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে অক্ষয় নাকি তাতে খুব হতাশ হয়। সে ফের একটি পিটিশন তাঁকে পাঠিয়ে দাবি করে, রাষ্ট্রপতির খারিজ করা আগের প্রাণভিক্ষার আবেদনটিতে ‘সব তথ্য’ ছিল না।
চার দোষীর মধ্যে মুকেশ, পবন ও বিনয় নিজেদের পরিবারের সঙ্গে শেষবারের মতো সাক্ষাত করে নিয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষ অক্ষয়ের পরিবারকে তার সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের দিন স্থির করার ব্যাপারে চিঠি পাঠিয়েছে। তবে তার ভাই বিনয় সিংহ বলেছেন, পরিবারের কেউ ওর সঙ্গে দেখা করতে যায়নি। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ও। আমাদের ৬ বিঘা জমি আছে। নিজেদের উকিল দেওয়ার পয়সা নেই। যা কিছু করার, সরকারি উকিলই করছেন। টিভি বা খবরের কাগজেই অক্ষয়ের ব্যাপারে খবরাখবর পাই।