নয়াদিল্লি: পেগাসাস ইস্যুতে বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল সংসদের অধিবেশন। এরইমধ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির বৈঠক চলাকালীন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের বাকবিতণ্ডা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ চড়ছে। এর আগে মহুয়া মৈত্র ও নিশিকান্ত দুজনেই সোশাল মিডিয়ায় একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এবার দুই দলের দুই  সাংসদের বাকযুদ্ধে অন্য রাজনৈতিক দলও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কংগ্রেস এই ঘটনায় মহুয়া মৈত্রর পাশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির দাবি, মহুয়া মৈত্রর মন্তব্য বিহারের মানুষের প্রতি অপমানজনক। 


গতকাল সংসদ ভবনে আইটি মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকের চেয়ারম্যান ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। কিন্তু তারুরের সভাপতিত্বে এই বৈঠকের বিরোধিতা করেন বিজেপি সাংসদরা। তাঁরা বৈঠক বয়কট করে সেখানে হাজিরা খাতাতেও স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন। সেজন্য কোরাম না হওয়ায়, অর্থাৎ নির্দিষ্ট সংখ্যায় সদস্য উপস্থিত না থাকায় বৈঠক হতে পারেনি।


কিন্তু বিতর্ক এখানেই থামেনি।এরইমধ্যে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের মধ্যে বাকযুদ্ধও বেধে গিয়েছিল বলে জানা গেছে। নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, মহুয়া মৈত্র তাঁকে 'বিহারি গুণ্ডা' বলেছেন। অন্যদিকে, মহুয়া মৈত্র বলেছেন, রেকর্ড অনুসারে, নিশিকান্ত দুবে তো সেখানে ছিলেনই না। তাহলে তাঁর প্রতি এই শব্দ তিনি কীভাবে ব্যবহার করতে পারেন। 


নিশিকান্ত ও মহুয়া মৈত্রর এই বাকযুদ্ধ নিয়ে বিজেপি সাংসদ তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও টেনে এনেছেন। সুশীল মোদির দাবি, মহুয়া মৈত্রর মন্তব্য শুধু বিহারবাসীর পক্ষেই অপমানজনক নয়, সমস্ত উত্তর ভারতের মানুষের পক্ষেও অপমানজনক। এ কারণে নিজের দলের সাংসদের মন্তব্যের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমা চাওয়া উচিত। বিজেপি সাংসদ অনিল জৈন বলেছেন, মহুয়া মৈত্র যে শব্দ প্রয়োগ করেছেন, তা অসংসদীয় এবং এ ধরনের শব্দের ব্যবহার খুবই আপত্তিজনক। 


অন্যদিকে, কংগ্রেস সাংসদ নাসির হুসেন মহুয়া মৈত্রর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, মহুয়া যা বলেছেন, তা ঠিক। কারণ, রেকর্ড অনুসারে, নিশিকান্ত দুবে তো সেখানে ছিলেনই না। তাহলে তাঁর প্রতি  এ ধরনের শব্দ কেন প্রয়োগ করবেন তৃণমূল সাংসদ! কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেছেন, প্রথমে নিশিকান্ত দুবেকে প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি বৈঠকে হাজির ছিলেন। যতক্ষণ না তা করতে পারবেন, ততক্ষণ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগকে ঠিক মনে করা যায় না।