নয়াদিল্লি: সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যের মাপকাঠিতে দেশের শীর্ষে কেরল। দ্বিতীয় স্থানে আছে তামিলনাড়ু। একই পয়েন্ট অর্জন করেছে হিমাচল প্রদেশ। সবচেয়ে খারাপ ফল বিহার, ঝাড়খণ্ড ও অসমের। সামাজিক, আর্থিক ও পরিবেশ সংক্রান্ত উন্নয়নের মাপকাঠিতে নীতি আয়োগের পক্ষ থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
নীতি আয়োগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিশুদ্ধ জ্বালানি, নগরোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গত বছর উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তবে শিল্প, উদ্ভাবন ও পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে অবনতি হয়েছে। আর্থিক উন্নতিও ধাক্কা খেয়েছে।
নীতি আয়োগ গঠিত হওয়ার পর এই নিয়ে তৃতীয়বার সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে বিষয়ক তালিকা প্রকাশ করা হল। ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে কেরল। তামিলনাড়ু ও হিমাচল প্রদেশ ৭২ পয়েন্ট পেয়েছে। গতবারের তুলনায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে মিজোরাম ও হরিয়ানা। গতবারের তুলনায় সব রাজ্যই উন্নতি করেছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে এই ধরনের একটি তালিকা প্রতি বছর প্রকাশ করা হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে ১৭টি ক্ষেত্রে উন্নয়নের শর্ত পূরণ করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। দেশের উন্নয়নের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং উন্নয়নের দিকে নজর রাখার লক্ষ্যে ২০১৮ সাল থেকে নীতি আয়োগও এই তালিকা প্রকাশ করে আসছে।
এ বছরের মার্চে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি রিপোর্টে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের উপর করোনার প্রভাবের ফলে এ বছরের সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যের তালিকায় অসাম্য বেশি দেখা যাবে। কিন্তু এদিন এই তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা গেল, রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে যে আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছিল, সেটা পুরোপুরি ঠিক নয়। বরং প্রতিটি রাজ্যই কিছুটা উন্নতি করেছে।
২০১৯-এ অসাম্যের বিষয়টি প্রকট হয়ে গিয়েছিল। সেবারের তালিকায় দেখা গিয়েছিল, শহর ও গ্রামে বসবাসকারী পরিবারগুলির খরচের মধ্যে অসাম্য অনেক বেশি। আয়ের ক্ষেত্রেও গ্রাম ও শহরের ব্যবধান ছিল বিস্তর। ২০১৮ সালের যে হিসেব পাওয়া গিয়েছিল, তাতেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাম্য দেখা গিয়েছিল।