নিজের বুথে ভোটদানের পর সাংবাদিকদের সামনে এই অভিমত জানান তিনি। নীতীশ যেখানে ভোট দিয়েছেন, সেটি পটনা সাহিব লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। সেখানে লড়াই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ ও কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার।
বিজেপির কি প্রজ্ঞাকে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বহিষ্কার করা উচিত, জানতে চাওয়া হলে নীতীশ বলেন, অবশ্যই এটা বিবেচনা করা উচিত। যদিও একইসঙ্গে নীতীশের সংযোজন, এটা বিজেপির ঘরোয়া ব্যাপার, কিন্তু দেশ বা মতাদর্শের কথা ভাবলে এ ধরনের ব্যাপার মেনে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
নীতীশ বলেন, তিনি পরিষ্কার বলেছেন যে, যিনি এমন মন্তব্য করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া বা প্রতিক্রিয়া দেওয়া, পুরোটাই সংশ্লিষ্ট দলের এক্তিয়ারে পড়ে। অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে নীতীশ দাবি করেন, তিনি অপরাধ, দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে কখনও আপস করেননি।
প্রজ্ঞা সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে রোড শোয়ের মধ্যে নাথুরাম গডসের প্রশংসা করে বলেন, নাথুরাম গডসেজি দেশপ্রেমিক ছিলেন, আছেন, থাকবেন। যারা তাঁকে সন্ত্রাসবাদী বলে, তাদের নিজেদের দিকে তাকানো উচিত। এই নির্বাচনে উপযুক্ত জবাব পাবে তারা।
বিতর্ক, নিন্দার ঝড় ওঠায় শেষ পর্যন্ত দলের তিরস্কারের পর ক্ষমা চান প্রজ্ঞা। গত ১৭ মে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দেন, তাঁর হত্যাকারীকে ‘আসল দেশপ্রেমিক’ বলে মহাত্মা গাঁধীকে অপমান করায় তিনি কখনও প্রজ্ঞাকে ক্ষমা করবেন না।