গত ২০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা বিজ্ঞপ্তি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর বিতর্ক চলছে। ১০টি এজেন্সির নাম রয়েছে তাতে। বিরোধী দলগুলির দাবি, সরকার একটি ‘নজরদার রাষ্ট্র’ তৈরি করতে চায়।
কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওই কর্তার দাবি, যে দশ এজেন্সির নাম বিজ্ঞপ্তিতে রয়েছে, ২০১১ থেকেই তাদের হাতে ইলেকট্রনিক বার্তার ওপর আড়ি পাতা, নজরদারির ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে। তাছাড়া ২০ ডিসেম্বরের বিজ্ঞপ্তিতে এই এজেন্সিগুলিকে তালিকাভুক্ত করতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ফের জানিয়ে দেয়, ২০১১-র স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি)-ই বহাল রয়েছে, যাতে এটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যে, এমন যে কোনও আড়িপাতা, নজরদারির আগে হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বা রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের অর্থাত্ সংশ্লিষ্ট উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে।
কেন্দ্র বলছে, কম্পিউটারের নথি-তথ্য আড়ি পেতে দেখা বা নজরে রাখার নিয়মবিধি ২০০৯ সালে তৈরি হয়, যখন দেশে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস-ইউপিএ সরকার এবং নতুন আদেশে কেবলমাত্র সেইসব বিধিবদ্ধ এজেন্সিগুলির নাম দেওয়া রয়েছ, যারা এহেন নজরদারি চালাতে পারে। অফিসারটি বলেন, বিজ্ঞপ্তিটি কিছুই নয়, টেলিকম পরিষেবা দেওয়া সংস্থাগুলিকে পাঠানো একটি তালিকামাত্র যাতে একমাত্র বৈধ, বিধিবদ্ধ এজেন্সিগুলিই কম্পিউটারের বার্তায় নজরদারি চালাতে পারবে, কোনও অনুমোদন না পাওয়া এজেন্সি তার অপব্যবহার করতে পারবে না, এটা সুনিশ্চিত করা যায়।
ওই অফিসারের বক্তব্য, দেশে মোবাইল সংযোগের সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে প্রায় ১২০ কোটি হয়েছে, কিন্তু তাতে আড়িপাতা, নজরদারি ২০১৪র পর থেকে কমেছে। দেশে ইলেকট্রনিক বার্তার সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়লেও আড়িপাতার ঘটনা, তার শতাংশের হার অনেক কমেছে।
২০ ডিসেম্বরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, দশটি এজেন্সিকে ২০০০ সালের তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৬৯ ধারায় যে কোনও কম্পিউটারে রাখা, গ্রহণ করা, তাতে তৈরি, সম্প্রচারিত যে কোনও তথ্যে নজরদারি চালানো, আড়ি পেতে দেখা, তার অন্তর্নিহিত অর্থ বের করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।