নয়াদিল্লি: ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীকে হারানোর জন্য জোট বাঁধার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। তবে স্বয়ং মোদী ২০১৯-এর পরেও ক্ষমতায় থাকার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। আজ এ বছরের শেষ ‘মন বি বাত’-এ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আশা করি উন্নতি ও প্রগতির পথে ভারতের যাত্রা ২০১৯-এও অব্যাহত থাকবে। ভারত অন্তরের শক্তির মাধ্যমে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট ইতিবাচক খবর প্রচার করছে। ইতিবাচক বার্তা যাতে ভাইরাল হয়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য সবার সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটগুলির লিঙ্ক শেয়ার করা উচিত। আমার বিশ্বাস, এর মাধ্যমে বহু মানুষ আমাদের নায়কদের সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই নায়করা সমাজে পরিবর্তন এনেছেন। নেতিবাচক খবর ছড়িয়ে দেওয়া সহজ। তবে আমাদের চারপাশে অনেক ভাল কাজ হচ্ছে।’



২০১৮ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের উন্নতির বিষয়ে মোদী বলেছেন, ‘এ বছর ভারতের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে। বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলি স্বীকার করে নিয়েছে, রেকর্ড গতিতে দারিদ্র্য দূরীকরণের কাজ করেছে ভারত। স্বচ্ছতা অভিযানও ৯৫ শতাংশ সফল। বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারতের সূচনা হয়েছে। স্বাধীনতার পর প্রথমবার স্বাধীনতা দিবস ছাড়াও লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর উপলক্ষে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সর্দার বল্লভভাই পটেলকে সম্মান জানাতে বিশ্বের বহত্তম মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। জাতীয় ঐক্য রক্ষায় যাঁরা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবেন, তাঁদের সর্দার পটেল পুরস্কার দেওয়া হবে। ভারত এ বছর পরিবেশ রক্ষায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন্স অফ আর্থ’ পেয়েছে।’



প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘সৌরবিদ্যুৎ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভারতের প্রচেষ্টা সারা বিশ্বের নজরে পড়েছে। আমাদের সবার প্রচেষ্টার ফলে সহজে ব্যবসা করা যায় এমন দেশগুলির তালিকায় ভারতের উন্নতি হয়েছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে। আমাদের দেশ এখন জলে, স্থলে এবং আকাশে পরমাণু অস্ত্রে বলীয়ান।’ প্যারা এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস, যুব অলিম্পিক সহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ভারতীয়দের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথাও বলেছেন মোদী।