দিনকয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের জেলায় জেলায় সিএএ-বিরোধী হিংসা দমনে পুলিশি অভিযানের ফলে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিএএ-বিরোধী আন্দোলন কেন্দ্র করে হিংসা, অশান্তির প্রেক্ষাপটে চারদিনের লখনউ সফরে ইতি টেনে সাংবাদিকদের সামনে তাঁর নিজের নিরাপত্তা তেমন বড় বিষয় নয় বলেও উল্লেখ করেন প্রিয়ঙ্কা। শনিবার তিনি গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন আইপিএস দারাপুরির বাসভবনে যেতে গেলে রাজ্য পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়, নিগ্রহ করে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আজ সেদিকে ইঙ্গিত করেই প্রিয়ঙ্কা বলেন, বিষয়টা উত্তরপ্রদেশের সাধারণ মানুষের সুরক্ষা, নিরাপত্তার। তাঁকে পুলিশের বাধাদানের বিষয়টি লঘু করে দিয়ে তিনি বলেন, আমার নিরাপত্তা এমন কোনও বড় ব্যাপার নয়। সামান্য, তুচ্ছ বিষয় যা নিয়ে কোনও আলোচনার প্রয়োজনই নেই। এর সঙ্গে আমআদমির কোনও সম্পর্কই নেই। বিষয়টা তুলবও না আমি। মানুষ বিচলিত আজকাল রাজ্যে যা সব ঘটছে, তা নিয়ে। নৈরাজ্য চলছে। কারও কাজ নেই, বেকারি রয়েছে। মহিলারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। এত বড় বড় ইস্যু থাকতে আপনারা তুচ্ছ বিষয়গুলি তুলছেন।
তবে এদিন এর আগে অবশ্য প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলাকালে ‘উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আইনবিরুদ্ধ আচরণে’র পূর্ণ বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করে রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেলকে চিঠি লেখেন প্রিয়ঙ্কা। উত্তরপ্রদেশ সরকার, পুলিশ নৈরাজ্য চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি লেখেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বিরোধী প্রতিবাদ, বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে গত ২ সপ্তাহ ধরে দেখা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আচরণ চরম বেআইনি কাজ করেছে, আইনের শাসন ধ্বংস করেছে, সত্ নাগরিকদের ওপর দমনপীড়ন, আক্রমণ চালাচ্ছে।
শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করা লোকজনের জামিন, তাঁদের বিরুদ্ধে দাখিল হওয়া সব মামলা প্রত্যাহারের জন্যও রাজ্যপালকে আবেদন করেছেন তিনি। শান্তি বজায় রেখে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে যাতে কোনও আইনি পদক্ষেপ না করা হয়, পড়াশোনায় বিঘ্ন না হয়, সেজন্যও তাঁকে আবেদন জানান প্রিয়ঙ্কা।
বিজনৌরে দুজনের মৃত্যু ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগও তোলেন তিনি। চিঠিতে লেখেন, পুলিশের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের একটাই মানে হয়, হয় পুলিশের ডিজি ইচ্ছে করে জনতাকে বিপথে চালাচ্ছেন অথবা তাঁরই অধীনস্থ লোকজন তাঁকে বিভ্রান্ত করছে, তিনি জানেন না, তাঁর লোকেরাই গুলি চালিয়েছে।