প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যেরই প্রসঙ্গ টানেন নীতীশ। বিহার বিধানসভায় তেড়েফুঁড়ে ওঠা বিরোধীরা দাবি করেছিলেন, এনআরসি ও জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী (এনপিআর) নিয়ে বিশেষ অধিবেশন ডেকে আলোচনা হোক। তাঁদের ক্ষোভ প্রশমনে নীতীশ জানান, এনআরসি শুধুমাত্র অসমেই কথা মাথায় রেখেই চালানো হয়েছে, গোটা দেশের প্রেক্ষাপটে নয়। বিহারে এনপিআর করার ব্যাপারেও কোনও আশ্বাস, কথা দেননি তিনি। প্রসঙ্গত, বিহারের জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি ইতিমধ্যেই ১৫ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত রাজ্যে এনপিআর প্রক্রিয়া চলবে বলে ঘোষণা করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ, কেরলের মতো বিজেপি-বিরোধী দলশাসিত রাজ্যগুলি ঘোষণা করেছে, তারা এনপিআর-ও করতে দেবে না, কেননা পরবর্তীকালে এনআরসি প্রক্রিয়া চালানোর ভিত্তি হিসাবে ব্যবহার করা হবে তার মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যপঞ্জিকে। তেজস্বী যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ও কংগ্রেসের দাবি, নীতীশ এনপিআর প্রক্রিয়াও বন্ধ রাখুন, বিশেষ করে এই কারণে যে, কেন্দ্র দেশব্যাপী জনগণনার সময় যেসব প্রশ্ন রাখতে পারে, সেগুলি এনপিআরে ক্ষেত্রেও ঢোকাবে, অর্থাত্ প্রশ্নের তালিকা বাড়াবে। বিরোধীদের আপত্তি বিশেষত এজন্য যে, এনপিআরে বাবা-মায়ের জন্মের তারিখ, স্থান জানতে চাওয়া হবে। ভবিষ্যতে এনআরসি করার জন্যই এই তথ্য চাওয়া হতে পারে বলে বিরোধীদের অনুমান। নীতীশ আজ বলেছেন, এনপিআরে নতুন সংযোজন ঘটলে দেখব।
এর আগে গত রবিবার জেডিইউ সহ- সভাপতি প্রশান্ত কিশোরও বিহারের মানুষের উদ্দেশ্যে জানান, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও এনআরসির কোনওটাই রাজ্যে কার্যকর হবে না। তিনি ‘আনুষ্ঠানিক ভাবে, স্পষ্ট ভাষায় সিএএ, এনআরসি খারিজ করায়’ কংগ্রেস ও তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। ট্যুইট করেন, সিএএ, এনআরসি সাফ প্রত্যাখ্যান করায় বাকি সবার সঙ্গে একসুরে কংগ্রেস নেতৃত্বকে ধন্যবাদ দিতে চাই। এব্যাপারে তাঁদের প্রয়াসের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর। সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, বিহারে সিএএ, এনআরসি হচ্ছে না।