বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য, ভারত দীর্ঘদিন ধরেই এই করিডর তৈরির দাবি করছিল, যাতে ভারত থেকে শিখ তীর্থযাত্রীদের বিনা ভিসায় কর্তারপুরের গুরুদ্বার দরবার সাহিব ভ্রমণে সুবিধা হয় এবং পাকিস্তান এই প্রথম এমন কোনও ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ায় তিনি সন্তুষ্ট। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, পাকিস্তান সদর্থক মানসিকতা দেখিয়েছে বলে এখনই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু হচ্ছে। আলোচনা, সন্ত্রাস একইসঙ্গে চলতে পারে না বলে জানিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী। এমনকী ইসলামাবাদে হতে চলা আগামী সার্ক সম্মেলনে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাবেন না বলে জানিয়ে দিলেন সুষমা। প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ পাঠানো হবে বলে মঙ্গলবার পাক বিদেশমন্ত্রকের ঘোষণার পরদিনই এই অবস্থান জানালেন বিদেশমন্ত্রী।
৭ ডিসেম্বর তেলঙ্গানা বিধানসভার নির্বাচনের প্রাক্কালে হায়দরাবাদে এসেছেন তিনি। সুষমা বলেন, যখনই পাকিস্তান ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করে দেবে, আলোচনা তখনই শুরু হতে পারে, কিন্তু শুধু কর্তারপুর করিডরের অগ্রগতির সঙ্গে আলোচনার সম্পর্ক নেই।
আজই বহু-প্রতীক্ষিত ওই করিডরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রবি নদীর ওপারে পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহিবে ওই করিডর তৈরির কাজ ৬ মাসে শেষ হতে পারে।