শিশির মঞ্চে ভারত কোন পথে শীর্ষক একটি আলোচনাসভায় বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ বলেছেন, স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই হবে, লড়াই চালাতে হবে স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতার বিরুদ্ধে। দরকারে অসাম্প্রদায়িক দক্ষিণপন্থী দলগুলির বিরোধিতা অবশ্যই জরুরি কিন্তু সবথেকে বড় বিপদ সাম্প্রদায়িকতা, তাকে হারাতে দক্ষিণপন্থীদেরও সাহায্য নিতে হবে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করে অমর্ত্য ফের বলেন, ২০১৪-র লোকসভা ভোটে ৩১ শতাংশ ভোট ও কুউদ্দেশ্য ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, ওই দল ৫৫ শতাংশ আসন পেয়েছে ঠিকই কিন্তু আসলে ভোট পেয়েছে মাত্র ৩১ শতাংশ। তাদের উদ্দেশ্য ভাল নয়।
অমর্ত্য আরও বলেন, এবার কলকাতা সফরে তাঁর কানে এসেছে, লোকে বলাবলি করছেন, এ রাজ্যের স্বৈরতান্ত্রিক প্রশাসনকে রুখতে বিজেপিই একমাত্র উপায়, দুর্বল সিপিএম নয়। তাঁর মতে, এই যুক্তি অর্থহীন। স্বৈরতন্ত্র রুখতে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করতে চলেছি আমরা। এর ফলে আমরাই সঙ্কটে পড়ব।
প্রতিটি রাজনৈতিক প্রশ্নকে বাম ও দক্ষিণপন্থী চিন্তাধারা দিয়ে বিশ্লেষণ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নির্দিষ্ট কোনও ঘটনার উল্লেখ না করে অভিযোগ করেন, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে জেলে পোরা হয় কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। জেলে বেআইনিভাবে মারধর করা হয় তাঁদের। এখন ছাত্ররা এই পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন। কাল তা দেশের যে কোনও নাগরিকের সঙ্গে হতে পারে। যেভাবে অসমের নাগরিকপঞ্জী নিয়ে বামেদের আগে তৃণমূল সমালোচনায় মুখর হয়েছে তা বামেদের পক্ষে গৌরবজনক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।