নয়াদিল্লি: আরএসএস বরাবরই দাবি করে, তারা সমাজসেবী সংস্থা, রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কহীন। কিন্তু গত লোকসভা ভোটে তারা কার্যত কিংমেকারের ভূমিকা নিয়েছিল। এবারের ভোট প্রক্রিয়ায় তারা যুক্ত হতে চলেছে আরও সরাসরি। স্বয়ংসেবকরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাবেন, কোনও রাজনৈতিক দলকে ভোট দেওয়ার জন্য, নোটা-য় ভোট না দেওয়ার কথা বলবেন তাঁরা।


আরএসএস ঠিক করেছে, তাদের স্বয়ংসেবকরা সরাসরি এবার ভোটের ময়দানে নামবেন। বোঝাবেন, একটি ভোটও নষ্ট করা চলবে না, ভোটদান হতে হবে ১০০ শতাংশ। একইসঙ্গে নান অফ দ্য অ্যাবাভ বা নোটা-র বিরুদ্ধেও প্রচার করবেন তাঁরা। রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে বিধানসভা ভোটের সময়েও সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত নোটা-র বিরোধিতা করেন। সেই বিরোধিতা এবার আরও তীব্র করবেন তাঁরা।

আরএসএস প্রধান তাঁর বিজয়া দশমীর ভাষণে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জোর দেন। তিনি রাম মন্দিরের জন্য আইন তৈরির দাবি করেন, ও বলেন, নোটা-য় ভোট না দিতে। এবার এই দ্বিতীয় বিষয়টি নিয়েই পুরোপুরি ময়দানে নামতে চায় সঙ্ঘ। রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে ভোটের পর আরএসএসের কাছে রিপোর্ট এসেছে, বহু ভোটার নোটা-য় ভোট দেওয়ায় বিজেপির বিরাট ক্ষতি হয়েছে। এমনকী এমনও খবর যে, মধ্য প্রদেশে বিজেপিকে কংগ্রেস নয়, হারিয়েছে নোটা-য়। এ জন্য আরএসএস এবার কোমন বেঁধে নোটা-র সম্পূর্ণ বিরোধিতায় নেমেছে।

তাদের বক্তব্য, ভোটারদের রাগ বর্তমান সাংসদদের ওপর থাকতে পারে। কিন্তু তার মানে তো এই নয়, যে তাঁদের সিদ্ধান্তে বিরোধীদের সুবিধে করে দিতে হবে। কারণ দেখা যাচ্ছে, নোটা থেকে সবচেয়ে বেশি লোকসান বিজেপিরই হয়েছে। তাই সংঘ কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাবেন, নোটা-য় ভোট দিলে কেমন করে ‘অযোগ্য ব্যক্তি’র নির্বাচনের পথ সুগম হচ্ছে।