নয়াদিল্লি: জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) তালিকা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল থেকে আলাদা। বললেন অমিত শাহ। ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিক এনআরসি-র আওতায় আসবেন, তাতে স্থান পাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার রাজ্যসভায় নিজের ভাষণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এনআরসি-তে এমন কোনও ধারা নেই যাতে বিশেষ কোনও ধর্মের মানুষকে বাদ রাখার কথা বলা হয়েছে। ধর্ম নির্বিশেষে ভারতবর্ষের সব নাগরিকই এনআরসি তালিকার অন্তর্ভুক্ত হবেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল থেকে এনআরসি ভিন্ন। গোটা দেশেই এনআরসি প্রক্রিয়া চালানো হবে। ধর্মীয় পরিচয় যা-ই হোক, কারও উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়। এটা শুধুমাত্র প্রত্যেককে এনআরসি-র আওতায় রাখার প্রক্রিয়া।
সংসদের উচ্চকক্ষে তিনি আরও বলেন, যাদের নাম খসড়া তালিকায় নেই, তাঁদের ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে। অসম জুড়ে ট্রাইব্যুনাল তৈরি হবে। যাঁরা ট্রাইব্যুনালের জন্য আইনি সহায়তা পাবেন না, তাঁদের আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়ার খরচ বহন করবে অসম সরকার।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা আফগানিস্তানে ধর্মীয় কারণে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান, পার্সি শরণার্থীরা যাতে ভারতের নাগরিকত্ব পান, সেজন্যই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রয়োজন বলেও জানান শাহ। বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান, পার্সিদের নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৬ গত ৮ জানুয়ারি লোকসভার অনুমোদন পেয়েছে। ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অ-মুসলিমদের এ দেশের নাগরিকের স্বীকৃতি দেওয়া এর উদ্দেশ্য।
প্রসঙ্গত, ৩১ আগস্ট প্রকাশিত চূড়ান্ত এনআরসি-তে ১৯ লক্ষ ৬,৬৫৭ জন বাদ পড়েছেন। এঁদের মধ্যে অসমে নাগরিকত্বের দাবি পেশ না করা লোকজনও আছেন। বৈধ নাগরিক বলে তালিকায় ঢুকেছে ৩ কোটি ১১ লক্ষ ২১ হাজার ৪ জনের নাম।