আসগরের ভাই আর্শাদ জানিয়েছেন, ‘আমরা বহুবছর ধরে কলকাতায় আছি। আমাদের ভোটার আইডি কার্ড আছে। নাগরিক হিসেবে আমরা ভোটও দিই। আমার দাদা ১৯৮০ থেকে গুয়াহাটিতে কাঠমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করছিলেন। তিনিই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে তাঁকে বন্দি করে গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠায় ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের বিরোধিতা করে আমরা হাইকোর্টে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের আর্জিতে সাড়া দেয়নি হাইকোর্ট। এরপর আমরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হই। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের পর আমরা আশা করছি দাদা কিছুদিনের মধ্যেই বাড়িতে ফিরে আসবে।’
আসগরের বোন রাজিয়া জানিয়েছেন, ‘ভোটার তালিকায় আমার বাবার নাম ছিল শেখ মোড়ল। এই নাম নিয়ে লোকজন ঠাট্টা করত। সেই কারণে বাবা ২০০৮ সালে হলফনামা দিয়ে ভোটার আইডি ও আধার কার্ডে নাম বদল করেন। এর ফলেই আমরা সমস্যায় পড়েছি। আমরা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে যাবতীয় নথি পাঠিয়েছি। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের কথা শোনা হয়নি।’