নয়াদিল্লি: ১৪ এপ্রিলের পর সারা দেশে লকডাউন বাড়ছে, এমন ইঙ্গিত মিলেছে গতকালই।  তার মধ্যেই ওড়িষায় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক।  অর্থাৎ আরও ১৬দিন লকডাউন বহাল রাখছেন তিনি।  দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম এমন সিদ্ধান্ত নিল ওড়িষা। এছাড়া ১৭ জুন পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সেখানে বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছে ওড়িষা সরকার।


গতকালই সংসদের রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের  সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে সামাজিক জরুরি অবস্থা বলে উল্লেখ করে লকডাউন তুলে নেওয়া সম্ভব নয় বলে অভিমত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১১ এপ্রিল তিনি এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু তার আগে নবীন বললেন, আমরা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ব্যাপারে কেন্দ্রকেও প্রস্তাব পাঠানো হবে। নবীন রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে এক বিশেষ বার্তায় বলেন, রাজ্য  মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের প্রাণরক্ষাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক স্থিতিশীলতার চেয়েও বেশি জরুরি। তাই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ছে। আগেই বলা হয়েছে, মালপত্র পরিবহণে কোনও সমস্যা হবে না, কোভিড ১৯ পরীক্ষা বাড়ানোয়, চিকিত্সার বন্দোবস্ত করায় চেষ্টার কোনও ত্রুটি থাকবে না।

ওড়িষায় এপর্যন্ত ৪৪টি করোনাভাইরাস পজিটিভ সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তিনি সারা দেশেই ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়াতে  কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছেন, সেইমতো রেল, বিমান যোগাযোগ স্থগিত রাখতে বলেছেন বলেও জানান নবীন। যদিও জলসেচ, কৃষিকাজ, পশুপালন, মনরেগা প্রকল্পের কাজ সোস্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলতে পারে বলেও তাঁর অভিমত।

এদিকে ভোপালের খবর, প্রতিদিন করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায়  ইন্দোর, ভোপাল, উজ্জয়িনী-এই তিন জেলা পুরোপুরি সিল করে দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। রাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতি রিভিউ করতে বৈঠকে বলে তিনি অন্য সব জেলার যেসব এলাকা থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পজিটিভ হওয়ার খবর আসছে, সেগুলিও সিল করতে বলেছেন।  বাড়ির বাইরে বেরলেই যাতে অন্তত ঘরে তৈরি মাস্ক পরেন,  রাজ্য়বাসীকে সেই আবেদন করেছেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যের ৫২টি জেলাতেই যারা করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েও তথ্য লুকোচ্ছে, অন্যদের বিপদে ফেলছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশও  দিয়েছেন চৌহান। বলেছেন,  এমন লোকজনকে অভিযুক্ত করুন, আগে হাসপাতালে চিকিত্সা করান, তারপর শাস্তিমূলক ব্য়বস্থা নিন।
গতকালই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য়ে কোভিড ১৯ সংক্রমণ মোকাবিলা আরও ভাল করে পরিচালনার জন্য এসমাও জারি করেছেন।