কেওনঝড়: চিকিৎসকদের ভুলে জন্মের পরেই শেষ হয়ে যাচ্ছিল একটি প্রাণ। অল্পের জন্য রক্ষা পেল সদ্যোজাত। তাকে ফিরে পেয়ে বাবা-মার চোখে আনন্দাশ্রু।


ওড়িশার কেনওঝড় জেলার খড়িকাপদা গ্রামে গতকাল এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। যে সদ্যোজাতকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, তারই শেষকৃত্যের সময় কান্না ও নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ পাওয়া যায়। এরপরেই তড়িঘড়ি শেষকৃত্য বন্ধ করে শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান তার পরিবারের লোকজন। এখন শিশুটির চিকিৎসা চলছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।


পরিবার সূত্রে খবর, রাইমণি ও সুনিয়া মুণ্ডার সদ্যোজাত সন্তানকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন ময়ূরভঞ্জ জেলার করঞ্জিয়া হাসপাতালের চিকিৎসকরা।  সে কথা শুনে স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েন শিশুটির পরিবারের লোকজন। তাঁরা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে শিশুটির দেহ মুড়ে নিজেদের গ্রামে নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্যের আয়োজন করেন। কিন্তু সেই সময়ই কেঁদে ওঠে শিশুটি। তার নিঃশ্বাসও পড়তে থাকে। এরপরেই তাকে নিয়ে ফের সেই হাসপাতালে ছুটে যান পরিবার ও গ্রামের লোকজন। তাঁরা চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের দাবি, শিশুটির উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং যে চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।


শিশুটির আত্মীয় বেলা মুণ্ডা জানিয়েছেন, ‘চিকিৎসকরা সদ্যোজাতকে মৃত বলে ঘোষণা করার পর হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি ব্যাগে তার দেহ মুড়ে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় আমরা সবাই এতটাই ভেঙে পড়েছিলাম, ব্যাগ খুলে শিশুটিকে আর দেখতে পারিনি। আমরা সবাই মিলে ব্যাগে করেই দেহটি নিয়ে গ্রামে ফিরে গিয়ে শেষকৃত্যের জন্য যাই। আমরা সবাই মিলে প্রার্থনা করার পর দেহটি কবর দিতে যাই। কিন্তু সেই সময়ই দেখা যায়, শিশুটির দেহে প্রাণ আছে। তারপর আমরা তাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য আবার হাসপাতালে এসেছি।’


এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, সেটা খতিয়ে দেখা হবে।