নয়াদিল্লি: বিরোধীদের কটাক্ষ নরেন্দ্র মোদির। দিল্লির সাম্প্রতিক হিংসা, অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে আজ নয়াদিল্লিতে বিজেপি সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে জাতীয়তাবাদ ইস্যুতে বিরোধী শিবিরকে আক্রমণ করে তারা জাতীয় স্বার্থের চেয়ে নিজস্ব স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, একসময় যারা ‘বন্দেমাতরম’ বলতে আপত্তি করতেন, তাঁরাই এখন ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলার মধ্যে কুঅভিসন্ধি খোঁজেন!
গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বলেছিলেন, ‘ভারত মাতা কি জয় ধ্বনি’র অপব্য়বহার করে ভারতের এমন একটা ‘জঙ্গি, পুরোপুরি আবেগ, উন্মাদনা’র ওপর তৈরি করা ভাবমূর্তি গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে, যেখানে ঠাঁই নেই ভারতের অগণিত, লাখ লাখ বাসিন্দা, নাগরিকের। মনমোহনের এই বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। আজ সরাসরি প্রাক্তনের নাম করেননি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু মনে করা হচ্ছে, ঘুরিয়ে তাঁকেই জবাব দিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, বিজেপি দেশের জন্যই কাজ করছে, অন্যেরা তখন নিজেদের দলের অস্তিত্ব বাঁচাতে লড়ছে। কিছু দলের কাছে রাজনৈতিক স্বার্থ চূড়ান্ত হলেও বিজেপির কাছে দেশের স্বার্থ সবার ওপরে।
বৈঠকে শান্তি, সম্প্রীতি ও সমাজে ঐক্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তায় গুরুত্ব দিয়ে মোদি এটা দেশের উন্নয়নের প্রাকশর্ত বলে অভিমত প্রকাশ করেন। বিজেপি সাংসদদেরও দেশে শান্তি, সম্প্রীতি সুনিশ্চিত করায় নেতৃত্ব দিতে ডাক দেন মোদি।
তাঁকে উদ্ধৃত করে কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ও জাতীয় স্বার্থ, দলের স্বার্থের প্রসঙ্গ এসেছিল। আজও কিছু দল দেশের আগে স্থান দিচ্ছে দলকে। স্বাধীনতার লড়াইয়ের সময় যেমন বন্দেমাতরম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, তেমনই এখন ভারত মাতা কি জয় বলা নিয়েও একই চেষ্টা হচ্ছে। মোদি আরও বলেন, আমরা এখানে এসেছি জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতেই। দেশ ও দেশের স্বার্থই চূড়ান্ত, উন্নয়নই আমাদের মন্ত্র।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও উপস্থিত ছিলেন।