বৃহস্পতিবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের সময় বলবিন্দর সিংহ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয় পিস্তল। এক বিজেপি নেতার ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর কাছ উদ্ধার হয় এটি। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে বলবিন্দরের পাগড়ি খুলে যায়। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ভিডিও ঘিরে জোর বিতর্ক। যা দেখে শুক্রবার ক্রিকেটার হরভজন সিং ট্যুইট করে লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দয়া করে এই বিষয়টি দেখুন। এটা ঠিক নয়।’
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর তরফে তাঁর সংবাদমাধ্যম উপদেষ্টা রবীন ঠকরাল টুইটারে লিখেছেন, ‘এটা ঠিক হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ এক শিখ যুবককে কী ভাবে হেনস্থা করছে, গ্রেফতারের সময় পাগড়ি খুলে দিচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করায় সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।’
পাগড়ি বিতর্কে সরব হয়েছে শিরোমণি আকালি দলও। ট্যুইটারে সুখবীর সিং বাদল লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ একজন শিখ নিরাপত্তা আধিকারিকের উপর যেরকম জঘন্য হামলা চালিয়েছে, এবং তাঁর পাগড়ির অপমান করেছেন, তার তীব্র নিন্দা করছি। এটা গোটা বিশ্বের শিখ সম্প্রদায়ের অপমান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ওই পুলিশের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।’
শুক্রবারই অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়, ‘বৃহস্পতিবারের প্রতিবাদ মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসেছিলেন ওই ব্যক্তি। ধস্তাধস্তির সময় নিজে থেকে পাগড়ি খুলে গিয়েছিল। আমাদের কোনও অফিসার তাঁর পাগড়ি খোলার চেষ্টা করেননি। কোনও সম্প্রদায়েরই ভাবাবেগকে আঘাত করার উদ্দেশ্য নেই আমাদের।’
যদিও, এই ঘটনা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। প্রাক্তন পুলিশ কর্তাদের অবশ্য বক্তব্য, কারও কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকলে, তাঁকে পুলিশ ধরবে! ধস্তাধস্তিও হতে পারে! এর সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই।
কিন্তু কে এই বলবিন্দর? বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, বলবিন্দর ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের সঙ্গী প্রিয়াঙ্গু পান্ডের দেহরক্ষী। বিজেপির দাবি, পিস্তলটি বৈধ! কিন্তু, রাজ্য পুলিশ সূত্রে বক্তব্য, উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রটি জম্মুর রাজৌরি জেলার বাইরে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই! অবৈধভাবে সেটি পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে।