হায়দরাবাদ : লকডাউন সংক্রান্ত বিধি ভাঙার জন্য প্রায় ৮,০০০ কেস ফাইল হচ্ছে দিনে। হাজারো সতর্কবার্তা কানে যাচ্ছে না শহরবাসীর। এমনই হাল হয়েছে হায়দরাবাদের। যা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে প্রশাসনের।
এ প্রসঙ্গে হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার অঞ্জলি কুমার জানিয়েছেন, ‘প্রতিদিন লকডাউন ভাঙার জন্য ৪০০০-৫০০০ গাড়িকে আটক করা হচ্ছে। গড়ে ৭০০০-এরও বেশি কেস ফাইল হচ্ছে লকডাউন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ তেলেঙ্গানায় লকডাউনের ওপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। কোভিড চেইন ব্রেক করতে জায়গায়-জায়গায় পেট্রোলিং চলছে। তা সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নিয়ম ভাঙছে শহরবাসী। যার ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে।’
তবে লকডাউনের মধ্যেও ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা ও চিকিৎসা পরিষেবাকে। জরুরি পরিষেবার অছিলায় কোনও ব্যক্তি যাতে লকডাউনে বিশেষ সুবিধা নিতে না পারেন, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে প্রশাসনের। এই ধরনের লকডাউন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
এদিন হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার জানান, ‘লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই রাস্তায় কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। পুলিশের নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে সিনিয়র অফিসাররাও হায়দরাবাদের বিভিন্ন চেকপোস্টে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন।’
রাজ্যের প্রশাসনিক নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৩০ মে পর্যন্ত তেলেঙ্গানায় লকডাউন জারি থাকবে। সূত্রের খবর, সেই দিনই ক্যাবিনেট বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। ইতিমধ্যেই ওষুধের কোম্পানি, মেডিক্যাল সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক, স্বাস্থ্যকর্মী, সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের স্টাফদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে রাজ্য প্রশাসন। তাঁদের গাড়ির জন্য বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবারই যাতায়াতের পাসের অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বলছে, মঙ্গলবার তেলেঙ্গানায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৮২১ জন। রাজ্যে সব মিলিয়ে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৬০,১৪১ জন। গতকাল রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪২৯৮ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের।যার ফলে রাজ্যে এখন করোনা জয়ীদের সংখ্যা ৫,১৮,২৬৬। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মারা গিয়েছেন ৩১৬৯ জন।