ইসলামাবাদ: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন লাদাখ সফরে গিয়ে ভারতের সেনা জওয়ানদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁদের বীরত্বকে সাধুবাদ দিচ্ছেন, সেনা হাসপাতালে গিয়ে আহত জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের উৎসাহ দিচ্ছেন, ঠিক তখনই ফোনে নিজেদের মধ্যে শলা-পরামর্শ করে নিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি ও চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। তাঁদের আলোচনায় কাশ্মীর ও আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে। ভারতই শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে বলে দাবি পাক বিদেশমন্ত্রীর। তাঁর আরও দাবি, এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।


জানা গিয়েছে, পাক বিদেশমন্ত্রীই ফোন করেন চিনের বিদেশমন্ত্রীকে। কুরেশি বলেন, ‘ভারতের উস্কানির মুখে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে পাকিস্তান। কাশ্মীর সীমান্তে ভারতীয় সেনাই সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে।’ জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন ডোমিসাইল আইন নিয়েও চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন পাক বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, চিন ও পাকিস্তান বরাবরের বন্ধু। তাঁরা মনে করেন, শান্তিপূর্ণ উপায়েই এই অঞ্চলের বিরোধ মিটিয়ে নেওয়া উচিত।

নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ, হংকংয়ে আগ্রাসন নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে চিন। তবে এই ইস্যুতে তারা পাশে পেয়েছে পাকিস্তানকে। কুরেশি জানিয়েছেন, তাঁরা ‘এক চিন নীতি’ সমর্থন করেন। এছাড়া হংকং, তাইওয়ান, তিব্বত ইস্যুতেও চিনকে সমর্থন করবে পাকিস্তান।

গতকালই লাদাখ সফরে যান মোদি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিমু ঘাঁটিতে গিয়ে চিনকে কড়া বার্তা দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত ও সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।