নয়াদিল্লি: ভারতের (India) সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা (Bilateral issues) মেটাতে এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Indian Prime Minister Narendra Modi) সঙ্গে টেলিভিশনে বিতর্কে যোগ দিতে চান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Pakistani Prime Minister Imran Khan)। তিনি রাশিয়ার (Russia) একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিভিশনে বিতর্কে যোগ দিতে চাই। আলোচনার মাধ্যমে যদি মতপার্থক্য দূর করা যায়, তাহলে ভারতীয় উপমহাদেশের ১০০ কোটিরও বেশি মানুষের উপকার হবে।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা বিদেশমন্ত্রকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির উদ্য়োগ নিয়েছিলেন। কিন্তু ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর থেকে দু’দেশের কূটনতিক সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। পাকিস্তান সরকারকে জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন জারি সহ সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে পাকিস্তানের নেতা-মন্ত্রীদের মন্তব্য দু’দেশের বৈরিতা বেড়েছে। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কও একেবারেই কমিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। তবে সম্প্রতি পাকিস্তানের বাণিজ্য বিভাগের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক রাজ্জাক দাউদ বলেছেন, তিনি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ফের চালু করার পক্ষে। এতে দু’দেশেরই লাভ হবে। এরপর রাশিয়ার সংবাদমাদ্যমকে দেওয়া ইমরান খানের সাক্ষাৎকার ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তান সরকার কি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্যই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইছে? না কি এই পদক্ষেপের পিছনে অন্য কোনও চাল রয়েছে?
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে যখন সারা বিশ্বে তোলপাড়, তখনই রাশিয়া সফরে গিয়েছেন ইমরান খান। গত দু’দশকে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাশিয়া সফরে গিয়েছেন তিনি। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সামরিক লড়াই নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করাই লক্ষ্য।