লাহৌর: ভারতকে না জানিয়েই সমঝোতা এক্সপ্রেস বাতিল করল পাকিস্তান। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সে কথা মাথায় রেখেই বৃহস্পতিবারের সমঝোতা এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে।” ফের কবে সমঝোতা এক্সপ্রেস চলবে, সে বিষয়েও নির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি তারা। ইসলামাবাদের তরফে জানানো হয়েছে, “নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই ফের চলবে সমঝোতা এক্সপ্রেস।”


পাকিস্তানের এক প্রথম সারির দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালেই করাচি থেকে সফর শুরু করেছিল সমঝোতা এক্সপ্রেস। তবে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ আসতেই লাহৌর রেল স্টেশনেই সমঝোতা এক্সপ্রেস-কে আটকে দেওয়া হয়।


পড়শি দেশের এই সিদ্ধান্তের পরই ভারতও জানিয়ে দিল, তারাও সমঝোতা এক্সপ্রেস চালাবে না। এক রেল কর্তা জানিয়েছেন, “পাকিস্তান থেকে যখন কোনও যাত্রীই আসছে না, তখন এই পরিষেবা রাখার কোনও মানেই হয় না। আশা করছি পরিস্থিতির উন্নতি হলে আমরা আবার সমঝোতা এক্সপ্রেসের পরিষেবা দিতে পারব।”

উল্লেখ্য, হিন্দি শব্দ ‘সমঝোতা’র বশবর্তী হয়েই এই ট্রেনটির নামকরণ হয়েছে । ইংরাজিতে ‘Agreement’, বাংলায় যার অর্থ ‘চুক্তি’ বা ‘সন্ধি’। সমঝোতা এক্সপ্রেসে রয়েছে ৬টি স্লিপার কোচ এবং ৩টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা। ভারত-পাকিস্তান, দুই দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম এই ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছিল ১৯৭৬ সালের ২২ জুলাই। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এতদিন এই ট্রেনের পরিষেবা নিয়ে দুই দেশের জনতাই বেশ উত্সাহী ছিল। প্রায় ৭০ শতাংশ আসনেই যাত্রী হত। তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জইশ-ই-মহম্মদের নাশকতার পর এই ট্রেনের আসন সংরক্ষণের চাহিদা তুলনায় অনেকটাই কমেছে।