নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক মঞ্চে আবির্ভাবের পর থেকেই হার্দিক পাণ্ড্যকে তুলনা করা হয় কপিল দেবের সঙ্গে। কিংবদন্তির সঙ্গে তুলনায় যে তিনি অস্বস্তি বোধ করেন, হার্দিক নিজেও সেটা বলেছেন। এবার কপিলের গলাতেও সেই সুর। তাঁর সঙ্গে তুলনা না টেনে হার্দিককে খোলা মনে খেলতে দেওয়ার আবেদন করেছেন ‘হরিয়ানা হারিকেন’। সঙ্গে বঢোদরার অলরাউন্ডারের প্রতি কপিলের পরামর্শ, বোলিংয়ে আরও উন্নতি করতে হবে। বল হাতে আরও বড় অবদান রাখতে হবে।


২০১৬ সালের জানুয়ারিতে অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে বেশ কয়েকটি নজরকাড়া ইনিংস খেলেছেন হার্দিক। টেস্টে সেঞ্চুরিও রয়েছে। তবে বল হাতে সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। ওয়ান ডে-তে তাঁর বোলিং গড় ৪১.৯৭। যার অর্থ, উইকেট পিছু হার্দিক খরচ করেছেন ৪১.৯৭ রান। ৪৭টি ওয়ান ডে খেলে তাঁর ঝুলিতে মোট উইকেট ৪৪।

কপিল বলেছেন, ‘ওকে নিয়ে কোনও তুলনা করবেন না। ওকে খেলতে দিন। ওর প্রতিভা আমরা দেখেছি। আমি চাই ও আমার চেয়েও ভাল ক্রিকেটার হোক। ও একজন অলরাউন্ডার। দুই বিভাগেই ওকে ভাল খেলতে হবে।’

সংবাদসংস্থা পিটিআইকে কপিল আরও বলেছেন, ‘ও একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার। তবে ওকে বোলিংয়ে আরও উন্নতি করতে হবে।’ পাশাপাশি কপিল বলেছেন, ‘হার্দিক দারুণ টিমম্যান। সেটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।’

বিশ্বকাপের মাঝপথে আঙুলে চোট পেয়েছেন শিখর ধবন। নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে খেলতে পারবেন না দুরন্ত ছন্দে থাকা ভারতীয় ওপেনার। যা ভারতীয় শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা। কপিল বলেছেন, ‘ওর জন্য ভীষণ দুঃখ হচ্ছে। দলের জন্যও হচ্ছে। তবে চোট-আঘাত নিয়ে কিছু করার থাকে না। আমি ইতিবাচক থাকতে চাই। আশা করছি ওর পরিবর্তে যে খেলবে, সে আরও ভাল করবে। তবে হ্যাঁ, ধবনের মতো বড় মানের ক্রিকেটার চোট পেলে খারাপ তো লাগেই।’

চলতি বিশ্বকাপে উইকেটের মান নিয়ে অসন্তুষ্ট জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। কপিল বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের উইকেট এতই ব্যাটিং সহায়ক হয়ে পড়েছে যে, আমি চিন্তিত। সামান্য ঘাস থাকলে আড়াইশো রান করাটাও কঠিন হয়ে যায়। মানছি এখন ক্রিকেট শুধু চার-ছক্কার খেলা হয়ে গিয়েছে, তবে উইকেট এমন হওয়া উচিত যেখানে ব্যাটসম্যানেরা ৬০ শতাংশ আর বোলাররা ৪০ শতাংশ সুবিধা পায়। তবে এই মুহূর্তে সেই অনুপাতটা ব্যাটসম্যানদের পক্ষে ৮০-২০ হয়ে গিয়েছে।’