নয়াদিল্লি: বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেও পেগাসাস-বিতর্কে উত্তাল সংসদের দুই কক্ষই। সরব তৃণমূল। লোকসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদরা।   বিক্ষোভের জেরে বারবার মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন। অন্যদিকে কৃষক ইস্যুতে সোচ্চার কংগ্রেস। আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস ও বাম সাংসদরা। যোগ দিলেন রাহুল গান্ধীও। 


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার অক্সিজেনের অভাবে কারও মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করেন। এনিয়ে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনতে চেয়ে রাজ্যসভায় নোটিস দিয়েছে সিপিআই।


বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে লোকসভার অধিবেশন এদিন দুপুর দুটো পর্যন্ত মুলতুবী হয়ে যায়। দুপুর দুটোয় অধিবেশন ফের শুরু হলে অধ্যক্ষের আসন থেকে ভর্ত্রুহরি মহাতাব বিক্ষোভকারী সদস্যদের নিজেদের আসনে গিয়ে বসে আলোচনায় অংশ নিতে আর্জি জানান। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, বিরোধীরা যে বিষয়েই চাইবে, সেই বিষয়েই আলোচনায় প্রস্তুত সরকার। তিনি বলেন, রাজ্য়সভায় কোভিড নিয়ে আলোচনা হয়েছে...আপনারা যে বিষয়েই আলোচনা চাইবেন, সরকার সেই বিষয়েই আলোচনা করতে প্রস্তুত। প্রশ্নোত্তর পর্ব প্রত্যেক সদস্যের অধিকার। 


মহাতাবও বলেন, সরকার সমস্ত বিষয়েই আলোচনায় রাজি। বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটি বিষয়গুলি চূড়ান্ত করতে পারে। 


হৈ হট্টগোলের মধ্যেই ইনল্যান্ড ভেসেলস বিল, ২০২১ ও এসেনশিয়াল ডিফেন্স সার্ভিসেস বিল ২০২১ উত্থাপিত হয়। এরইমধ্যে গোলমাল চলতে থাকায় মহাতাব দুপুর দুটো পর্যন্ত সভা স্থগিত ঘোষণা করেন। 


এর আগে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময়ও একই দৃশ্য দেখা যায়। ১২ মিনিট সভা চলার পর অধ্যক্ষ ওম বিড়লা দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সভা মুলতুবী ঘোষণা করেন। 


মোদি সরকারের বিরোধিতায় তৃণমূলের অস্ত্র কী হবে? বাদল অধিবেশনের রণনীতি স্থির করতে আজ দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদ ভবনের বৈঠকে মূলত এ নিয়েই আলোচনা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। লোকসভা ও রাজ্যসভার সমস্ত তৃণমূল সাংসদ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এরপর দুপুরে সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের বাড়িতে দ্বিতীয় বৈঠকেও থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, পেগাসাস-বিতর্কে আজ লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়ে নোটিস দেয় তৃণমূল।


দলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের বক্তব্যে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী অথবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সংসদে দাঁড়িয়ে বলতে হবে যে ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও এবং পেগাসাসের সঙ্গে ভারত সরকারের কোনও যোগ নেই। অথবা স্পাইওয়্যারের অপব্যবহার ও ফোন হ্যাকিং নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিতে হবে কেন্দ্রকে।