নয়াদিল্লি: পেহলু খানের বিরুদ্ধে গরু পাচার মামলা খারিজ করল রাজস্থান হাইকোর্ট। ২০১৭ সালে একদল উত্তেজিত লোকের হাতে মার খেয়ে মারা গিয়েছিলেন পেহলু। গণপিটুনিতে মৃত্যুর ইস্যুতে এ ঘটনার পর দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পেহলু ও তাঁর দুই ছেলে ইরশাদ ও আরিফ জয়পুরের সপ্তাহের বাজার থেকে গরু কিনে গাড়িতে চাপিয়ে হরিয়ানার নুহতে নিজেদের গ্রামে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁরা কেটে ফেলার জন্য ওই গরু পাচার করছেন, অভিযোগে রাস্তায় একদল স্বঘোষিত গোরক্ষক তাঁদের ঘিরে ধরে মারধর করে বলে অভিযোগ। মারাত্মক জখম ৫৫ বছরের পেহলু দুদিন বাদে হাসপাতালে মারা যান। হত্যার জন্য বেআইনি ভাবে গরু পাচারের অভিযোগে পেহলু ও বাকিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু রাজস্থান হাইকোর্ট আজ জানাল, মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র থেকে স্পষ্ট, মেরে ফেলার জন্য নয়, ডেয়ারি ব্যবসার জন্য বাজার থেকে ওই গরু কিনেছিলেন। ওঁরা নিধনের জন্য গরুগুলি পাচার করছিলেন, তার কোনও প্রমাণ নেই।
পেহলুকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় সন্দেহের অবকাশ থাকার যুক্তি দেখিয়ে ৬ অভিযুক্তের সকলকেই গত ১৪ আগস্ট মামলা থেকে নির্দোষ বলে ছাড় দেয় আলওয়ারের এক আদালত। তবে ওদের রেহাই দেওয়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন জানায় রাজস্থান সরকার।

পেহলুর আইনজীবী কপিল গুপ্তা বলেন, বিচারপতি পঙ্কজ ভান্ডারির এক সদস্যের বেঞ্চ গোপাচারের অভিযোগে দায়ের হওয়া এফআইআর ও চার্জশিট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি এফআইআর ও চার্জশিট পেশ হওয়াকে ‘আইনি প্রক্রিয়ার অপব্যবহার’ বলে অভিমত জানিয়েছেন বলে জানান গুপ্তা। তিনি আরও জানান, পহেলুদের কাছে স্থানীয় পশু কেনাবেচার বাজারের রিসিপ্টও ছিল যাতে পরিষ্কার, ডেয়ারিতে লালনপালনের জন্যই গরুগুলি কেনা হয়।
পেহলু, তাঁর দুই ছেলেকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল নিধনের জন্য গোপাচার সংক্রান্ত রাজস্থান বোভাইন অ্যানিম্যাল আইনে। গুপ্তা বলেছেন, আদালত বলেছে, মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওদেরগুলো দুধেল গরু ছিল, বাছুরগুলো এক, দু বছরের। ফলে এটা বলা যায় না যে, মেরে ফেলার জন্য ওদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।