ছাত্রাবস্থায় পড়াশোনাতেও খুবই মেধাবী ছিলেন সুশান্ত। প্রথমে পড়াশোনা পটনায়। এর দিল্লির কুলাচি হংসরাজ মডেল স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে দিল্লি টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শুরু করেন তিনি।
২০০৩-এর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় তাঁর র্যা ঙ্কিং ছিল সপ্তম। তিনি পদার্থবিদ্যায় জাতীয় অলিম্পিয়াডেও বিজয়ী ছিলেন। সাতটি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন সুশান্ত।
কিন্তু অভিনয়ের প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ কলেজে তৃতীয় বর্ষেই পড়াশোনায় ইতি টানেন সুশান্ত। পরবর্তীকালে টেলি সিরিয়ালের হাত ধরে রূপোলি পর্দায় অভিষেক ঘটে তাঁর।
পদার্থবিদ্যায় সুশান্তের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন এক পিএইচডি স্কলার নম্রতা দত্ত। বিমানবন্দরে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল সুশান্তর। তিনি সুশান্তকে পদার্থবিদ বলে ধরে নিয়েছিলেন। ট্যুইট করে সুশান্তের সঙ্গে দেখা হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন নম্রতা। তিনি লিখেছেন, প্যারিস বিমানবন্দরে তিনি কোয়ান্টাম ফিজিক্সের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, তাতে আমার মনে হয়েছিল, এক প্রতিভাবানের সঙ্গে কথা বলছি। তাঁর জন্মদিন ২১ জানুয়ারি। আমার ২৬ জানুয়ারি। আমরা দুজনেই একা একা জন্মদিন পালন করছিলাম। এরপর আমরা ডিএনএ ও এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফি মেথোড নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।
নম্রতা আরও বলেছেন, এই ঘটনা দুই বছর আগের। আমার ধারনা ছিল না যে তিনি বলিউড তারকা। আমি মনে করেছিলাম, তিনি একজন পদার্থবিদ, যিনি ফ্রান্সে পড়াশোনা করছেন।যেভাবে পদার্থবিজ্ঞানের ব্যাখ্যা তিনি করেছিলেন, তা ছিল চমকপ্রদ। পরে তিনি আমাকে বলেন যে, তিনি অভিনেতা। যা শুনে প্রশ্ন করেছিলাম, কেন? আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে, তিনি নেই।