ঢাকা: দু’দিনের বাংলাদেশ সফর শেষ করে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিন তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সমাধিস্থলে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর সমাধির পাশে একটি গাছের চারাও রোপণ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি আজ সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে যশোরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন। একান্ন পীঠের অন্যতম এই যশোরেশ্বরী মন্দির। ওড়াকান্দিতে মতুয়াদের ঠাকুরবাড়িতেও যান প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি।


আজ বাংলাদেশকে ১২ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে একটি প্রতীকি বাক্স তুলে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে বাংলাদেশকে ১০৯টি অত্যাধুনিক, জীবনদায়ী চিকিৎসার সুবিধাসম্পন্ন অ্যাম্বুল্যান্সও উপহার দিয়েছে ভারত। পাল্টা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত হওয়া একটি সোনা ও একটি রুপোর কয়েন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।


আজ ঢাকা থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি ‘মিতালি এক্সপ্রেস’-এর উদ্বোধন করেন তাঁরা। ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতির জন্য আরও উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান দুই প্রধানমন্ত্রী।


পরে এই বৈঠকের বিষয়ে ভারতের বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছেন, ‘আমরা এমন দেশ না যে রাজধানীতে গেলাম, ড্রইংরুমে বৈঠক হল আর ফিরে গেলাম। আমাদের দু’দেশের একই ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ইতিহ্য রয়েছে। আজকের বৈঠকে তিস্তা জলবণ্টনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুত এই চুক্তি বাস্তবায়িত করার বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। ফেনি নদীর জলবণ্টনের বিষয়েও খসড়া তৈরি করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে মোটরযান চুক্তির বিষয়েও আজ আলোচনা হয়েছে।’


বিদেশসচিব আরও জানিয়েছেন, ‘রূপপুর পরমাণু কেন্দ্র নিয়েও আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ভারতীয় সংস্থাগুলি এই অসামরিক পরমাণু চুল্লির ট্রান্সমিশন লাইন তৈরি করবে।’