নয়াদিল্লি: টিকাকরণ চলা সত্ত্বেও দেশের কিছু অংশে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এই বৈঠকে দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে খোঁজ নেন। টিকাকরণের বিষয়েও খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী।
এই বৈঠকে ছিলেন কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকরা। উৎসবের মরসুমে করোনা সতর্কতা নিয়ে আলোচনা হয়। কেরল, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলিতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া নিয়েও কথা হয়।
এদিকে, দেশে করোনায় ফের কমল দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬০ জনের। একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৯৭৩। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৯ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৯৫৪। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৬৪৬। দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২৩ লক্ষ ৪২ হাজার ২৯৯। দেশে একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৮১ জন।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানান, ভারতে এখনও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও দেশ থেকে বিদায় নেয়নি। দেশের ৩৫টি জেলায় এখনও প্রতি সপ্তাহে ১০ শতাংশেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশের ৩০টি জেলায় প্রতি সপ্তাহে ৫ থেকে ১০ শতাংশ ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। উৎসবের মরসুমে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এখনও পর্যন্ত দেশে ৭১ কোটিরও বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। ভারতের মোট প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের অর্ধেকেরও বেশি অন্তত একটি ডোজ পেয়েছেন। ১৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক দু’টি জোডই পেয়েছেন। ৯৯ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী অন্তত একটি ডোজ পেয়েছেন। ৮৪ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মীর দু’টি ডোজই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও যাঁরা করোনার বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করছেন, তাঁদের প্রায় প্রত্য়েকেরই টিকাকরণ হয়েছে।