নয়াদিল্লি: কো-উইন গ্লোবাল কনক্লেভে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই এবং টিকাকরণ প্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দক্ষতা বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। অতিমারীর বিরুদ্ধে সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে। শুরু থেকেই টিকাকরণ প্রক্রিয়া ডিজিটালি করতে জোর দেওয়া হয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণ সবচেয়ে জরুরি। কয়েকদিন আগেই একদিনে ৯০ লক্ষের টিকাকরণ করা হয়েছে।’


ভারতে করোনার টিকাকরণের প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য কোউইন অ্যাপ চালু করা হয়। কানাডা, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, পানামা, উগান্ডার মতো ৫০টি দেশ তাদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করার জন্য এই অ্যাপ বেছে নিয়েছে। জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সিইও ড. আর এস শর্মা জানিয়েছেন, এই দেশগুলিকে বিনামূল্যে ওপেন সোর্স সফটঅ্যয়ার দিয়ে সাহায্য করতে তৈরি ভারত। প্রধানমন্ত্রী ওপেন সোর্স সফটঅ্যয়ার তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। যে দেশগুলি এই সফটঅ্যয়ার চাইবে, ভারত তাদের সাহায্য করবে। 


এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ কো-উইন গ্লোবাল কনক্লেভে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘করোনা অতিমারীর শুরু থেকেই সারা বিশ্বকে আমাদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও পরিকাঠামো দিয়ে সাহায্য করছি। আমাদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সারা বিশ্বকে যতটা সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রযুক্তির সাহায্য নিতেই হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার না করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্য পাওয়া যাবে না। সফটঅ্যয়ার এমন একটা ক্ষেত্র, যেখানে আমাদের কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। সেই কারণে আমরা ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পেরেছি। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমরা সারা বিশ্বকে সাহায্য করতে পারি। কোউইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করলে কাউকে আর টিকাকরণ কেন্দ্রে কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে না। সঙ্গে ফোন থাকলেই হবে।’


প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১০০ বছরে এরকম অতিমারী আর আসেনি। অভিজ্ঞতা দেখিয়ে দিয়েছে, কোনও দেশ যত শক্তিশালীই হোক না কেন, একা এরকম চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে পারবে না। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সারা বিশ্বকে সাহায্য করবে ভারত।’