ইংরেজদের হাত থেকে দেশ স্বাধীন করার জন্য নেতাজির আজাহ হিন্দ ফৌজ যে ঐতিহাসিক লড়াই করেছিল, তার স্মৃতিতে প্রধানমন্ত্রী উত্তোলন করবেন জাতীয় পতাকা। এই প্রথম আজাদ হিন্দ সরকারের স্মৃতিতে এ ধরনের কোনও অনুষ্ঠান হাতে নিয়েছে কেন্দ্র। আর এই আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে যুক্ত বলে লাল কেল্লার ভেতর সেলিমগড়ের আলাদা মর্যাদা রয়েছে। এখানেই আজাদ হিন্দের তিন অফিসার কর্নেল প্রেম সায়গল, কর্নেল গুরুবখশ সিংহ ধিলোঁ ও মেজর জেনারেল শাহনওয়াজ খানের বিখ্যাত বিচার হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করেছে, লাল কেল্লার ভেতর সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতিতে একটি সংগ্রহশালা খোলা হবে। তাতে থাকবে আজাদ হিন্দ ফৌজের ইতিহাস ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত নানা চিহ্ন ও স্মারক। অ্যানিমেশন ও উচ্চ প্রযুক্তির আলো ও শব্দের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে নেতাজি ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। স্মরণ করা হবে নেতাজিকেও।
পাশাপাশি স্বাধীনতার প্রথম লড়াই হিসেবে চিহ্নিত ১৮৫৭-র সিপাহি বিদ্রোহে যোগ দেওয়া শহিদদের ওপরেও তৈরি হবে একটি সংগ্রহশালা। জালিয়ানওয়ালাবাগ কাণ্ডের স্মৃতিতে একটি সংগ্রহশালা হওয়ার কথা। সব মিলিয়ে তৈরি হবে ৫টি সংগ্রহশালা, উৎসর্গ করা হবে স্বাধীনতার সৈনিকদের। জানুয়ারির মধ্যে এগুলি খুলে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের জন্য।
সুভাষচন্দ্র বসু ও আজাদ হিন্দ ফৌজের স্মৃতিতে প্রধানমন্ত্রী আন্দামান-নিকোবর যাত্রা করবেন। বহু বিপ্লবীর স্মৃতিধন্য সেলুলার জেলও পরিদর্শন করবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকবেন নেতাজির পরিবারের একাধিক সদস্য।