নয়াদিল্লি:  সোশাল মিডিয়া ছাড়ার জল্পনার মধ্যেই ফের ট্যুইট নরেন্দ্র মোদির। রহস্যের পর্দাফাঁস করলেন প্রধানমন্ত্রী। ছাড়ছেন না সোশাল মিডিয়া, নারী দিবসে একদিনের জন্য অ্যাকাউন্ট উৎসর্গ করছেন। মহিলাদের উদ্দেশে একদিনের জন্য সোশাল মিডিয়া উৎসর্গ করে ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর। নিজের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট উৎসর্গ করলেন মোদি। ‘যাঁদের জীবন ও কাজ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তাঁদের আরও অনুপ্রাণিত করবে এই পদক্ষেপ। আপনি কি তেমনই একজন মহিলা? এমন কোনও মহিলাকে চিনে থাকলে জানান তাঁর গল্প’। ট্যুইট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এপ্রসঙ্গে #SheInspiresUs হ্যাশট্যাগ দেন মোদি।





সোমবার রাত ৮টা ৫৬। আচমকা আছড়ে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর একটা ট্যুইট। সেখানে ইঙ্গিত দেন, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন সোশাল মিডিয়া ছাড়তে চলেছেন তিনি। ট্যুইটারে মোদি লেখেন, লেখেন, রবিবার ভেবেছি সোশাল মিডিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেব! ফেসবুক, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব অ্যাকাউন্ট ছেড়ে দেব। এবিষয়ে আপনাদের আরও জানাতে থাকব।
দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ল খবরটা। মুহূর্তে সব ছেড়ে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠল এই ট্যুইট। যে নরেন্দ্র মোদি ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ডাক দেন, যে নরেন্দ্র মোদি ক্ষণে ক্ষণে আপডেট দেন, তিনি কিনা সোশাল মিডিয়া ছেড়ে দিতে পারেন! তা-ও এমন ঘোষণা করে!
সোশাল মিডিয়ায় নরেন্দ্র মোদির ফলোয়ারের সংখ্যা রীতিমতো ঈর্ষণীয়। ফেসবুকে মোদির ফলোয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৪০ লক্ষ। ট্যুইটারে ৫ কোটি ৩০ লক্ষ। ইনস্টাগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর ফলোয়ার ৩ কোটি ৫২ লক্ষ। এবং ইউটিউবে ৪৫ লক্ষ। সোশাল মিডিয়ার পক্ষে একাধিকবার জোরগলায় সওয়ালও করেছেন তিনি।





মুহূর্তে অন্য সব বিষয়কে পিছনে ফেলে, সোশাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং লিস্টে হু হু করে ওপরে উঠে আসে বিষয়টি। বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবির থেকেও আসতে শুরু করে প্রতিক্রিয়া। কংগ্রেস অবশ্য এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী ট্যুইট করেন, সোশাল মিডিয়া নয়, ঘৃণা ছাড়ুন।
সঙ্গে সঙ্গে কর্নাটক বিজেপি পাল্টা ট্যুইট করে, ভারতের শাসনভার এখন রাজীব ফিরোজ গাঁধী বা এডভিগ আন্তোনিয়া অ্যালবিনা মেইনো (সনিয়া গাঁধীর আসল নাম)-র হাতে নেই। এখন দেশ চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আশা করি, এই সত্যিটা আপনারা বুঝবেন।

কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা আবার ট্যুইট করেন, মাননীয় মোদিজি, আমাদের একান্ত ইচ্ছে, আপনি সম্মিলিত ট্রোল-বাহিনীকে এই পরামর্শ দিন। যারা আপনার নাম করে প্রতি মুহূর্তে অপমান করে, হুমকি দেয়। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছে সিপিএম-ও। বিরোধীদের পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি-ও।
কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার দুপুর ১টা ১৬ মিনিটে ফের ট্যুইট করে মোদি রহস্যের উন্মোচন করেন। অর্থাৎ সোশাল মিডিয়া না ছেড়ে, নিজের অ্যাকাউন্ট চালানোর ভার একদিনের জন্য মহিলাদের উপরই ছাড়তে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী।