নয়াদিল্লি: জরুরি অবস্থা জারির বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ বিজেপি নেতারা। অন্যদিকে, এই দিন উপলক্ষ্যে বিজেপিকে একহাত নিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত পাঁচ বছর ধরে দেশে ‘সুপার এমার্জেন্সি’ চলছে।
১৯৭৫-এর ২৫ জুন জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন ইন্দিরা গাঁধী, তা কার্যকর থাকে ১৯৭৭-এর ২১ মার্চ পর্যন্ত।


মোদি ট্যুইট করে বলেছেন, ‘যাঁরা তীব্র ও নির্ভীকভাবে জরুরি অবস্থার প্রতিরোধ করেছিলেন, ভারত তাঁদের কুর্ণিশ জানায়। এক কর্তৃত্ববাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে ভারতের গণতান্ত্রিক মানসিকতা সাফল্যের সঙ্গে বজায় থেকেছে’।



বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছেন, জরুরী অবস্থা ছিল এক কালো পর্ব। তাঁর ট্যুইট, ‘১৯৭৫-এ আজকের দিনেই ক্ষমতায় থাকার জন্য কংগ্রেসের হাতে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল। ভারতীয় জনসঙ্ঘ ও আরএসএস থেকে যাঁরা সামনের সারিতে থেকে জরুরি অবস্থা বিরোধী লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, এমন হাজার হাজার নামহীন নায়কদের প্রতি দেশ কৃতজ্ঞ’।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহর ট্যুইট, জরুরি অবস্থা ভারতের ইতিহাসে একটা ‘কালো অধ্যায়’।




কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কীভাবে সংবাদপত্রগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল, সে কথা স্মরণ করেছেন। তাঁর ট্যুইট, ‘দেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠায় লক্ষ লক্ষ দেশপ্রেমীকে ভূক্তভোগী হতে হয়েছিল’।
অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইট, ১৯৭৫ সালে আজকের দিনেই জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। গত ৫ বছর দেশে 'সুপার এমার্জেন্সি' চলেছে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের উচিত দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য লড়াই করা।