অ্যান্টিগা ও নয়াদিল্লি: বিপাকে পড়তে চলেছেন মেহুল চোকসি। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত চোকসিকে সব আইনি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলেই ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে জানালেন অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনি। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের ১৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় চোকসি ও তাঁর ভাগ্নে নীরব মোদিকে হাতে পেতে চাইছে সিবিআই, ইডি। চোকসি রয়েছেন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ অ্যান্টিগায়। সেখানকার নাগরিকত্ব জোগাড় করেছেন তিনি। নীরব লন্ডনের জেলে বন্দি। কোটিপতি হিরের কারবারী, ৬০ বছর বয়সি চোকসির সামনে আর কোনও আইনি রাস্তা খোলা না থাকলে সে দেশের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাউনি।


তাঁকে উদ্ধৃত করে অ্যান্টিগা অবজারভার সোমবার বলেছে, ওঁকে প্রক্রিয়া মেনেই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু বাস্তব এটাই যে, ওঁকে নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে প্রত্যর্পণের মাধ্যমে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে তার একটা পদ্ধতি আছে। ব্যাপারটা এমন নয় যে, আমরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানার ব্যবস্থা করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাদের বৈধ প্রক্রিয়া মেনে এগতে হবে। আদালতে ওঁর বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে। আমরা ভারত সরকারকে সেটা বলেছি। অপরাধীদেরও কিছু মৌলিক অধিকার থাকে। চোকসিরও আইনের দ্বারস্থ হয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করার অধিকার আছে। কিন্তু আমি আশ্বাস দিচ্ছি, যাবতীয় আইনি সুরক্ষার পথ শেষ হয়ে গেলে ওঁকে প্রত্যর্পণ করা হবে।

২০১৮-র গোড়ায় কোটি কোটি টাকার পিএনবি জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসার আগেই চোকসি, মোদি-উভয়েই ভারত থেকে চম্পট দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি বম্বে হাইকোর্টে ইডি জানায়, চোকসিকে ভারতে নিয়ে আসতে প্রয়োজনে মেডিকেল অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করবে তারা। চোকসি হাইকোর্টে দাবি করেছিলেন, তিনি মামলায় বিচার থেকে অব্যাহতি পেতে নয়, চিকিত্সা করাতেই ভারত ছেড়েছেন। সুস্থ হয়ে ফেরার মতো অবস্থা হলেই তিনি ভারতে ফিরবেন।
চোকসি ২০১৭-র নভেম্বর সিটিজেনশিপ ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সিআইপি) –এর আওতায় অ্যান্টিগা ও বারবুডার নাগরিকত্ব নেন। ওই স্কিমে সেদেশের এক তহবিলে ন্যূনতম ১ লক্ষ মার্কিন ডলার অর্থ বিনিয়োগ করে সেখানকার পাসপোর্ট পান তিনি।