নয়াদিল্লি: কখনও রেশন, গরিব কল্যাণ প্রকল্প, কখনও আবার কৃষক অর্থনীতি, করোনা সুরক্ষাবিধি। আজ জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণায় উঠে এল একাধিক উল্লেখযোগ্য বিষয়। সেইসঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে দেশবাসীর বেপরোয়া মনোভাব ও সুরক্ষাবিধি লঙ্ঘন করা নিয়েও হুঁশিয়ারি দিলেন মোদি। আইন ভাঙার জন্য বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসভের জরিমানা হওয়ার প্রসঙ্গ টানেন তিনি।
আজকের ঘোষণায় মোদি দেশবাসীকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফের সতর্ক করে বলেন, 'বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই দেশ আনলক -২ পর্বে প্রবেশ করেছে। আর এর সঙ্গে সঙ্গে আমরা সর্দি, কাশির মরসুমেও প্রবেশ করেছি। দেশে এখন বর্ষা চলছে। আর তখনই মানুষের ব্যক্তিগত ও সামাজিক ব্যবহারে বেপরোয়া মনোভাব বেড়েই চলেছে। এপ্রসঙ্গে উদাহরণ হিসাবে তিনি বরিসভের কথা উল্লেখ করেন। জনসমক্ষে মাস্ক না পড়ায় বরিসভকে ৩০০ লেভ বা ভারতীয় মুদ্রায় ১৩০০০ টাকার কিছু বেশি জরিমানা দিতে হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে এনে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়েছেন, আইন সবার জন্যই সমান। করোনা সম্পর্কিত বিধিনিষেধ না মানলে কাউকে ছাড়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী আজ আরও বলেন, এই সময় যাঁরা বেপরোয়া মনোভাব দেখাচ্ছেন, তাঁরা বুঝতে পারছেন না যে, তাঁরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকেই দুর্বল করছেন। এমন মানুষের বেপরোয়া মনোভাবে রাশ টানতে হবে এবং নিয়ম পালন করাতে হবে। সেইসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, 'ভারতেও স্থানীয় প্রশাসনকে এই উদ্যমের সঙ্গে কাজ করতে হবে। এটা ১৩০ কোটি দেশবাসীকে রক্ষা করার প্রশ্ন। ভারতে পঞ্চায়েত প্রধান হোক বা প্রধানমন্ত্রী, আইন সবার জন্য সমান।'