নয়াদিল্লি: দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর শনিবার দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য মলদ্বীপ যাচ্ছেন মোদি। তারপর তাঁর গন্তব্য শ্রীলঙ্কা। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমেই এই দুই প্রতিবেশী দেশ সফরের পিছনে, সরকারের ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে অগ্রাধিকার’ নীতিই প্রতিফলিত হচ্ছে বলে অভিমত, মোদির। এই দুই দেশ সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
আগামীকাল শুরু হচ্ছে তাঁর সফর। তার আগে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভয়াবহ জঙ্গিহানায় বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার কাছে সংহতির বার্তা পৌঁছে দিতেই তাঁর এই সফর। ইস্টার সান ডে-তে পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে শ্রীলঙ্কা। মারা যান ২৫০ এরও বেশি মানুষ।
মলদ্বীপ সফর নিয়ে মোদির বক্তব্য,‘সাম্প্রতিক কালে মলদ্বীপের সঙ্গে আমাদের দেশের সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে। আমার বিশ্বাস, এই সফরের পর দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক আরও পোক্ত হবে।’
গতবছর ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়েমিন মলদ্বীপে জরুরি অবস্থা জারি করার পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে কিছুটা অবনতি ঘটে। পরে অবশ্য প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলির আমলে দুই দেশের সম্পর্ক আবার ছন্দে ফেরে। গত নভেম্বরে সোলির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মলদ্বীপ যান মোদি। বিদেশসচিব বিজয় গোখলে জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি সাক্ষরিত হতে পারে।
মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। দু-দেশের সম্পর্কও বেশ ভাল। প্রধানমন্ত্রীর শ্রীলঙ্কা সফর দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা প্রধানমন্ত্রীর।