নয়াদিল্লি: ভারতের সঙ্গে তাঁর দেশের সম্পর্ক এর আগে কখনও এখনকার মতো এতটা ভাল ছিল না বলে জানিয়ে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) প্রসঙ্গ ওঠেনি। গোটা ভারত বর্তমানে আলোড়িত বিতর্কিত সিএএ নিয়ে।

সাংবাদিক সম্মেলনে সিএএ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে একথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতার হাল নিয়েও মোদির সঙ্গে ট্রাম্প কথা বলতে পারেন বলে শোনা গিয়েছিল। এ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং আমি ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, দুজনের বিশ্বাস একই। এটা সত্যি যে, ব্যক্তিবিশেষের ওপর হামলার খবর শুনেছি। কিন্তু এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। মোদিকে ‘টেরিফিক লিডার’ (নেতা হিসাবে অসাধারণ) বলে উল্লেখ করেন তিনি। সিএএ নিয়ে দিল্লি উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটেই সফর চলছে তাঁর। ট্রাম্প জানান, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কথা হয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রসঙ্গ উঠলে মোদি তাঁকে বলেছেন, তিনি চান, মানুষ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করুন। ওরা সত্যিই এ ব্যাপারে কাজ করেছেন। আমিও কারও কারও ওপর আক্রমণের কথা শুনেছি। কিন্তু তা নিয়ে কথা হয়নি। এটা একেবারে ভারতেরই ব্যাপার।
দিল্লির চলতি হিংসা নিয়েও তাঁদের কথা হয়নি বলে জানান ট্রাম্প। বলেন, আমি এটা ভারতের ওপরই ছেড়ে দিতে চাই। আশা করি, ভারত সরকার তাদের জনসাধারণের জন্য যেটা সঠিক, সেই সিদ্ধান্তই নেবে।

আজ দুদিনের ভারত সফর শেষ হয়েছে তাঁর। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারত ও আমেরিকার ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের হেলিকপ্টার ডিল সই হয়েছে।
তিনি ও মোদি আজ যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন, তাতে রয়েছে, তিনটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেগুলির একটি হয়েছে শক্তি ক্ষেত্রে। বড় ধরনের বাণিজ্য ডিল নিয়ে আলোচনা শুরু করতেও রাজি হয়েছে দুপক্ষ। সন্ত্রাসবাদ দমনেও তাঁরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে ঘোষণা করেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা।
মোদি বলেছেন, তাঁরা ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে সার্বিক বিশ্ব পার্টনারশিপের জায়গায় নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন। আমরা আজ প্রতিরক্ষা, সুরক্ষা, শক্তি, বাণিজ্য বা জনসাধারণের স্তরে আদানপ্রদান-
ভারত-মার্কিন বোঝাপড়ার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে কথা বলেছি।