পিএমসি ব্যাঙ্ক মূলত কাজ করে মুম্বইয়ে। এছাড়া দিল্লি, কর্নাটক, গোয়া, গুজরাত, অন্ধ্র প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশে তাদের শাখা রয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আগামী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারবে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে পিএমসি-কে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, দরকার পড়লে এই টাকা তোলায় কড়াকড়ি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বদলাতেও পারে।
আরবিআই আরও জানিয়েছে, পিএমসি ব্যাঙ্ক কাউকে টাকা ধার দিতে পারবে না, দিতে পারবে না আগাম অর্থ। কোথাও কোনও বিনিয়োগ করতে পারবে না, ধার নিতে পারবে না, নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা বন্ধ রাখতে হবে, আরবিআইয়ের আগাম সম্মতি ছাড়া ধার মেটাতেও কোনও অর্থ তারা কারও অ্যাকাউন্টে ফেলতে পারবে না। এই নয়া নির্দেশ ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে, পাঠানো হবে প্রত্যেক অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের কাছে।
১৯৮৪-তে প্রতিষ্ঠিত পিএমসি-র ৬টি রাজ্যে ১৩৭টি শাখা রয়েছে। দেশের প্রথম ১০টি সমবায় ব্যাঙ্কের মধ্যে রয়েছে তারা। ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয় থমাস জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের কাজকর্মে কিছু অনিয়ম আরবিআই-এর চোখে পড়েছে, তার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ। তাঁর আশ্বাস, ৬ মাসের সময়সীমার মধ্যে এই সমস্ত অনিয়ম শুধরে ফেলবেন তাঁরা।
তবে আরবিআই-এর নির্দেশ আসার পর থেকে পিএমসি ব্যাঙ্কের শাখার সামনে গ্রহীতাদের লম্বা লাইন চোখে পড়েছে। যত দ্রুত সম্ভব অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিতে চান তাঁরা। ভিড় সামলাতে নামাতে হয়েছে পুলিশ।